শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনাকালে ডেঙ্গু

এখনই প্রতিরোধ করতে হবে

করোনা মহামারীতে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, প্রতিদিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে তখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের খবরটি বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করে বটে। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। কিন্তু সজাগ না হলে যে কোনো সময় সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে জনস্বাস্থ্যবিদরা আশঙ্কা করছেন। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ও করোনার উপসর্গ প্রায় অভিন্ন। জ্বর, শ্বাসকষ্ট দুই রোগেরই উপসর্গ। তবে করোনা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে যেভাবে অকেজো করে দেয় ডেঙ্গু তা করে না। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা। সাধারণত ভবন বা সড়কের পাশে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা জন্ম নিয়ে থাকে। তাই এডিস মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সন্দেহে ১০ জনের তথ্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা সম্পন্ন করেনি প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে দেশের হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৫৫ জন। আক্রান্তের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন প্রায় ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের চেয়ে ডেঙ্গু বেশি বিপজ্জনক। ডেঙ্গুতে শিশুরা অনেক ঝুঁকিতে থাকে। শিশুদের শরীরে কামড়াতে মশার সুবিধা হয়। প্রায় বিনা বাধায় শিশুর পাতলা চামড়া ভেদ করে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা কামড়ায়। অঙ্কুরেই ডেঙ্গুর বাহন এডিস মশা বিনাশ করতে হবে। বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে ডোবা-নালা কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর