শিরোনাম
শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

কাজ খুঁজছে মানুষ

শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তখনো হাতে কাজ ছিল শ্রমজীবী মানুষের। তারপর সাধারণ ছুটি ঘোষণা, লকডাউনে অনেকেরই বাড়ি ভাড়া বাকি পড়েছে। স্ত্রী আর সন্তানের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কাজের আশায় বাড়ি থেকে বের হলেও কাজ মেলে না। অনেকেই হয়তো ভাবেননি এই ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে যেতে হবে। এ করোনাকালে আরও বহু পেশার লোক স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। এক গবেষণায় দেখা যায়, ৩৬ শতাংশ লোক চাকরি বা কাজের সুযোগ হারিয়েছে। ৩ শতাংশ লোক চাকরি থাকলেও বেতন পায়নি। আর দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে যারা কাজ করে তার ৬২ ভাগই কাজের সুযোগ হারিয়েছে। করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণার পরই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে অস্থিরতা দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের মোটরসাইকেলে যাত্রী বহনের কাজ শুরু করেন। সংসার চালাতে গিয়ে আয়ের কোনো পথ না পেয়ে এ কাজ করেন অনেকে। এমন দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটছে দেশের অন্তত সাড়ে ৭ হাজার নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের লক্ষাধিক শিক্ষকের। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর বিধিনিষেধে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে দিনমজুর থেকে শুরু করে শিক্ষক, পরিবহন শ্রমিক, বেসরকারি কর্মকর্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। আগের কাজ হারিয়ে তারা নতুন করে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছে। কেউবা অন্য পেশায় ঝুঁকছে। অসংখ্য ছোট ব্যবসায়ী হারিয়েছে পুঁজি। তবে করোনায় বেশি ক্ষতি হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের। পেশাজীবীদের ওপরও বিরূপ অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে। অনেকেই বাঁচার তাগিদে নিজেদের পেশাগত পরিচয় পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি কোন রূপ নেবে তা আমাদের জানা নেই। শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর