রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক নারী পাচার

চাকরির নামে বিক্রির অভিযোগ গুরুতর

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে নারী পাচার চলে আসছে সেই পাকিস্তান আমল থেকে। স্বাধীনতার পরও হতদরিদ্র এ দেশের নারীদের রাহুমুক্তি সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অবৈধ পন্থায় পাচার অনেকটা হ্রাস পেলেও ছোবল বিস্তার করেছে টিকটকের ফাঁদে ফেলে নারী পাচারের ঘটনা। চাকরির নামে বিভিন্ন অনিরাপদ দেশে নারী শ্রমিক পাঠানোর ভুল নীতিও অসংখ্য বাংলাদেশি তরুণীর জীবনে বিড়ম্বনা ডেকে এনেছে। এমনকি করোনাকালেও এক বছরে শতাধিক নারী সৌদি আরবে পাচারের শিকার হয়েছেন। সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী চক্র বেশি বেতনে গৃহকর্মীর চাকরির লোভ দেখিয়ে পেট্রো-ডলারের দেশে পাচার করছে। চাকরির নামে সৌদি নাগরিকদের কাছে এসব নারীকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। নারী পাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিজয়নগরের গ্রিন এক্সিলেন্ট ড্রিম ওভারসিজের মালিক বদিউল আলম খান ও তার সহযোগীকে গ্রেফতারের পর সিআইডি এসব তথ্য জানতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে ১৭ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় মানব পাচার আইনে মামলা করেন ময়মনসিংহের এক তরুণী। সিআইডি কর্মকর্তারা ২০ জুলাই গ্রিন এক্সিলেন্ট ড্রিম ওভারসিজে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে কিছু নথি ও রেজিস্টার খাতা জব্দ করেন। খাতাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৪-৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ২৫-৩০ বছর বয়সী নারীদের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। রেমিট্যান্স আয় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। একসময় শুধু পুরুষ শ্রমিকরাই বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেত। সাম্প্রতিককালে নারী শ্রমিকরাও বিদেশে যাচ্ছে। আমরা নীতিগতভাবে বিদেশে নারী কর্মীদের পাঠানোর বিরুদ্ধে নই। তবে অবশ্যই বিদেশে তারা যাতে নিরাপত্তাহীনতার শিকার না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নারী গৃহকর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কেবল সভ্য দেশগুলোকেই বেছে নেওয়া যেতে পারে। কোনোভাবেই এর অন্যথা হওয়া উচিত নয়। নারী পাচারের হোতাদের কঠিন শাস্তি কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর