বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সতর্ক থাকতে হবে

মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা জারি হোক

বুধবার থেকে উঠে গেল জনভোগান্তির লকডাউন। জীবনের দাম সবচেয়ে বেশি এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জারি করা হয়েছিল সর্বাত্মক লকডাউন। সারা দেশে গণটিকা দান শুরুর পাশাপাশি বুধবার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে ঘোষিত বিধিনিষেধ। খুলে দেওয়া হয়েছে কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। দেশের সাধারণ মানুষের অসচেতনতায় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। সরকারি হিসাবে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখের নিচে হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা কয়েক কোটি হতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। কারণ যাদের করোনা শনাক্ত হয়নি তাদের এক তৃতীয়াংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। যার অর্থ নিজেদের অজান্তেই সংশ্লিষ্টরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হলেও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। গণপরিবহনে ভিড়, গাদাগাদি করা যাবে না। করোনা ঠেকাতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। করোনার সব ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা দিতে পারে মাস্ক। করোনার শুরু থেকে যে স্বাস্থ্যবিধি শেখানো হচ্ছে তা মেনে চলতে হবে। হাত না ধুয়ে নাকে-মুখে দেওয়া যাবে না। করোনার উপসর্গ দেখা গেলে আরটিপিসিআর কিংবা অ্যান্টিজেন্ট টেস্ট করতে হবে। জ্বর, কাশি নিয়ে বাইরে বেরোনো যাবে না। নিজের, পরিবারের এবং চারপাশের মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। দেশে গণটিকা দান শুরু হয়েছে এবং পর্যাপ্ত টিকা সরকারের হাতে এসেছে। ২৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে টিকা নেওয়ার বয়সসীমা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকা। সবাইকে টিকা নিতে হবে। মানুষের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে কঠোর বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারে কোনো হেলাফেলা হলে তা হবে আত্মঘাতী। সরকারকেও এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপের কথা ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর