শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

নীল নদ

আফতাব চৌধুরী

বিশ্বের মধ্যে সব থেকে রহস্যময় জায়গার নাম আফ্রিকা। এখানকার জঙ্গল এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো হলেও বেশির ভাগ এলাকা বড়ই ভয়ংকর। এত কিছুর পরও জীববিজ্ঞানীদের কাছে আফ্রিকা চিত্তাকর্ষক, বিচিত্র এক মহাদেশ। আফ্রিকার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে আশ্চর্য সব প্রাকৃতিক বিস্ময়। যেমন কঙ্গো হলো আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত এমন জায়গা যেখানে রয়েছে সব বিচিত্র ধরনের গাছপালা। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যায় বনমহিষ, বঙ্গো, হাতি, গরিলা ও শিম্পাঞ্জিদের।

অন্যদিকে আরেক অদ্ভুত ধরনের জায়গা হলো মাদাগাস্কার। এখানেও বিশ্বের যত রকম কিম্ভূতকিমাকার প্রাণীর বাস। এসবের পরও বলতে হয় আফ্রিকা ভ্রমণ ততক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয় না যতক্ষণ না সাহারা মরুভূমি ঘোরা হয়। আর লাখ লাখ মাইল বিস্তৃত এ মরুভূমিতে বৃষ্টিপাত হয় খুবই কম। প্রসঙ্গত, সাহারা মরুভূমি হলো বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম মরুভূমি। বিশ্বের সব থেকে বড় নদ নীল মিসরে জন্ম নিয়ে একাধিক দেশ ঘুরে মেডিটেরিয়ান সিতে এসে মেশে। এ নদ সাহারা মরুভূমির মধ্য দিয়েও যায়। হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পেরোনোর সময় নীল নদ তার চারপাশের জমিকে মারাত্মক উর্বর করে দেয়। এ নদ মেডিটেরিয়ান সিতে মেশার ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার আগে কোনো উপনদী তৈরি হয়নি। ইথিওপিয়ার লেক টানা থেকে জন্ম নেয় ‘ব্লু’ নীল, যা মিসরের কাছে ‘সাদা’ নীলের সঙ্গে এসে মিশে যায়। এরপর ‘ব্লু’ ও ‘সাদা’ নীল একসঙ্গে নয়টি দেশ অতিক্রম করে। নীল নদ বাস্তবে ইথিওপিয়া, জায়ারে, কেনিয়া, উগান্ডা, তানজানিয়া, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, মিসর ও সুদানের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। নীল নদের চরে বসবাসরত সব থেকে জনপ্রিয় দুটি তৃণভোজী প্রাণী হলো গন্ডার ও জলহস্তী। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়, যত দিন যাচ্ছে এ দুটি প্রাণীর সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। অতীতে মিসরীয়রা জলহস্তীকে সম্মান করলেও অনেকেই অতিকায় এ জলজ প্রাণীটিকে খুব ভয় পেত। নদী নদ ঘিরে একাধিক সরীসৃপ বসবাস করে। যার মধ্যে সব থেকে বড়টি কুমিরের তকমা পেয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর