সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

আবহাওয়ার পরিবর্তন

ধনী দেশগুলোকে দায় নিতে হবে

আবহাওয়ার নেতিবাচক পরিবর্তনে বিশ্বের উষ্ণতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। গলছে দুই মেরুদেশের বরফের স্তূপ। হিমালয়ের বরফও গলছে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। সোজা কথায় বাড়ায় বরফ গলে বৃদ্ধি পাচ্ছে সাগরের উচ্চতা। সাগরপ্রান্তের অনেক দেশের অস্তিত্বের জন্য তা সংকট তৈরি করছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ খুব ভয়াবহভাবে এ বিপদের মুখে। বিজ্ঞানীদের মতে আবহাওয়াম-লের উষ্ণতা বাড়ছে গ্রিনহাউস অ্যাফেক্টের কারণে। বৈশ্বিক উষ্ণতার অপঘাতে ইউরোপের হিমশীতল দেশগুলোতেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে মানুষ। বিশ্বে ১৪২ বছরের মধ্যে এ বছরের জুলাই ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বৈজ্ঞানিক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাদের হিসাবে জুলাইয়ে স্থলভাগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের সমন্বিত তাপমাত্রা ২০ শতকের গড় তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৯৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ১৪২ বছর আগে আবহাওয়ার তথ্য সংরক্ষণ শুরু হওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৬ সালে এবং ২০১৯ সালেও ওই একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কারণেই উষ্ণতা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, জুলাইয়ে উষ্ণতার ‘অনাকাক্সিক্ষত অবস্থান’ একটি উদ্বেগের কারণ। জুলাইয়ে স্থলভাগ ও সমুদ্রপৃষ্ঠের সম্মিলিত তাপমাত্রা ২০১৬ সালের রেকর্ডের চেয়ে শূন্য দশমিক শূন্য ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। জলবায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মরুপ্রান্তের বরফ গলে সাগরের উচ্চতা বাড়ছে। গত দুই যুগ ধরে বাংলাদেশে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় বন্যা জলোচ্ছ্বাসের পেছনে উষ্ণতার অপপ্রভাব অনেকাংশে দায়ী। সাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে উপকূলভাগে লাখ লাখ একর জমি প্লাবিত হচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা। সমস্যাটি যেহেতু সৃষ্টি হচ্ছে ধনী দেশগুলোর দায়িত্বহীনতার কারণে সেহেতু তাদের নিরস্ত করার বিষয়েও উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর