মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

গাড়ির ধোঁয়া

বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

কানা ছেলের নাম ‘পদ্মলোচন’ রাখার মতো সেনাপতি শাসকদের আমলে কথায় কথায় বলা হতো তিলোত্তমা ঢাকা। বাস্তবে সাড়ে চার দশক আগেও ঢাকা নিশ্চিতভাবে ছিল বায়ুদূষণের শহর। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ সমস্যায় জর্জরিত এক জনপদ। ১৯৯০ সালে সেনাপতি শাসনের অবসানের পর তিলোত্তমা জাতীয় তামাশার উচ্চারণ বন্ধ হয়ে যায় খুবই সংগত কারণে। কারণ ইতিমধ্যে ঢাকাবাসী জেনে যায় তারা দুনিয়ার অন্যতম অচল নগরীর বাসিন্দা। নব্বইয়ের পর ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে নেওয়া হয় নানা পদক্ষেপ। নিষিদ্ধ হয় ধোঁয়া ছড়ানো স্কুটার বা বেবিট্যাক্সি। যানবাহনে সিএনজির ব্যাপক ব্যবহারে পরিস্থিতির ইতিবাচক উন্নতি ঘটে। তবে বিভিন্ন সরকারি গাড়ি যেগুলোয় জ্বালানির জন্য পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন ব্যবহার হয় সেগুলো বায়ু বিষাক্ত করার ধোঁয়া ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারই প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা দূষণের নগরী- এমন পরিচিতি থেকে সরে আসতে পারছে না। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ঢাকাকে গাড়ির ধোঁয়ার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রাখা হয়েছে। ঢাকার বায়ুদূষণ বিশেষ করে গাড়ির কালো ধোঁয়া থেকে রক্ষা পেতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরোর জন্য। বায়ুদূষণে সরকারি এমনকি পুলিশের গাড়িও এগিয়ে। দুর্নীতি ও অসততার কারণেই যে সরকারি গাড়ির এ দুরবস্থা এমন কথা বলা খুব একটা ভুল হবে না। বায়ুদূষণ যেহেতু মানুষের আয়ু কেড়ে নেয় সেহেতু এ সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হতে হবে। ধোঁয়া ছড়ানো গাড়ি দেখলেই করতে হবে জরিমানার ব্যবস্থা। সরকারি গাড়ির বায়ুদূষণ সম্পর্কে নিতে হবে বাড়তি পদক্ষেপ। ঢাকাবাসীরও প্রত্যাশা তাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর