শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সচিব সভা

গতিশীল হোক প্রশাসন

সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনিয়ম-দুর্নীতির ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় না দেওয়ার কঠোর বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন মন্ত্রণালয়ের কোনো দফতরে দুর্নীতি হলে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সচিবকেই। বুধবার চার বছর পর অনুষ্ঠিত সচিব সভায় তিনি উল্লেখ করেছেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে অপচয় এবং অনৈতিক কিছু হলে তা রোধে সংশ্লিষ্ট সচিবকেই এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকান্ড যথাযথভাবে বাস্তবায়নেও নিতে হবে উদ্যোগ। করোনায় বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান সচিব। প্রশাসন কীভাবে চালিত হবে তা সচিবদের সততা ও দক্ষতার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। যে কারণে দেশের এক ক্রান্তিকালে করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকান্ড সচল রাখার তাগিদে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সচিব সভার আয়োজন হয়। বুধবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বেলা ৩টায় শেষ হয় গুরুত্বপূর্ণ এ সভা। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সর্বশেষ সচিব সভা হয়েছিল ২০১৭ সালের ২ জুলাই। সভার মূল ফোকাস ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সচিব বৈঠকে বলা হয় ইতিমধ্যে কোভ্যাক্সসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ২১ কোটি ডোজ টিকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে খাদ্যের ঘাটতি যাতে না হয় সেজন্য খাদ্য ও কৃষি সচিবকে একসঙ্গে বসে কাজ করতে হবে। সরকারি ব্যয় কমানোরও তাগিদ দেওয়া হয়েছে সচিব সভায়। ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্পসুদে বিভিন্ন ঋণব্যবস্থার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে ছোট ও মাঝারি সব বিনিয়োগ সচল থাকে। সামাজিক নিরাপত্তার নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত করার কথাও বলেছেন সরকারপ্রধান। সরকারের গৃহীত নীতি বাস্তবায়নে প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সচিব সভা প্রশাসনকে গতিশীল করতে সক্ষম হলে তা হবে এক বড় অর্জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর