রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

২১ আগস্ট হত্যাকান্ড

বিচারে দ্রুত নিষ্পত্তি কাম্য

বিলম্বিত বিচার যে বিচারহীনতার নামান্তর তা স্বীকার করা হয় সব মহল থেকেই। এমনকি বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতরাও দীর্ঘসূত্রতাকে নেতিবাচক চোখেই দেখেন। বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার তো রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। জেলে চার জাতীয় নেতার হত্যাকান্ডের রায় পেতেও যে বিলম্ব ঘটেছে তাকে দুর্ভাগ্যের উপাখ্যান বলে অভিহিত করা যায়। ১৭ বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে সংঘটিত গ্রেনেড হামলার বিচারেও ঘটছে একই ধরনের দীর্ঘসূত্রতা। এ হামলাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চলেছে প্রথম ছয় বছর। গত এক যুগে মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চললেও দীর্ঘ ১৭ বছরেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে চালানো হয়েছিল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। ২৪ জন নিহত ও ৫ শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় করা দুই মামলায় বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে তিন বছর আগে। তার পর থেকে চলছে উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পালা। করোনার কারণে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরুতে কিছুটা বিলম্ব হলেও খুব শিগগিরই বহুল আলোচিত মামলা দুটির শুনানি শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দেওয়া বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। একই অপরাধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। আরও ১১ আসামিকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। আমরা আশা করব উচ্চ আদালতে দেশের ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধে যা প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর