সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

চাল আমদানি

উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিন

বাজারে মোটা চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এক মাসের মধ্যে ৮ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববাজারে চালের দাম কম থাকায় আশা করা হচ্ছে আমদানিকৃত চাল বাজার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে বাজারে মোটা চালের কেজি ৫০ টাকার কাছাকাছি। আর চিকন চালের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। দেশে ধান উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তে শুভঙ্করের ফাঁকি থাকায় প্রায় ২ কোটি ৪৫ মণ চাল বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এ বিষয়ে শনিবার ৯২টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বরাদ্দ রয়েছে নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ৩ লাখ ৫৮ হাজার টন এবং আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। এর আগে ১৮ আগস্ট ৭১টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ওই দফায় চালের পরিমাণ ছিল নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ৩ লাখ ৬২ হাজার টন এবং আতপ চাল ৫৬ হাজার টন। উভয় ক্ষেত্রেই শর্ত- চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। আমদানি শর্তে আরও বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। সরকারি হিসেবে বলা হয়েছিল এ বছর রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদিত হয়েছে। সে হিসাবে যে কারচুপি রয়েছে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি তারই প্রমাণ। করোনাকালে দেশ যখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কঠিন অবস্থার মোকাবিলা করছে তখন চাল আমদানি বাবদ বিপুল অর্থ ব্যয় দুর্ভাগ্যজনক। ভবিষ্যতে আমদানিনির্ভরতার বদলে দেশেই যাতে চাহিদা অনুযায়ী চাল উৎপাদন হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করবে এমন পদ্ধতি খুঁজে বের করা প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর