শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষাঙ্গন দ্রুত খুলুক

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যত্নবান হতে হবে

দেড় বছরের ক্লান্তিকর অবকাশ শেষে শিক্ষাঙ্গনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বলা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। এ যুগে কোনো জাতির এগিয়ে থাকার অপরিহার্য শর্ত হলো শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসরতা। করোনাকালে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ক্ষতি হয়েছে তা ১০ বছরেও পূরণ হবে কি না সে সংশয় দানা বেঁধে উঠেছে। এমন আশা করাও বোকামি। শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। জীবনের দাম নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি, কিন্তু মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠার গুরুত্বও কম নয়। শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকায় সে ক্ষেত্রে জাতিকে অনেক অনেক যোজন পেছাতে হয়েছে। করোনাকালের বিসংবাদ থাকলেও ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও জানিয়েছেন, তারা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে চান। এখন সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল মহামারীর কারণে। আশার কথা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিম্নগামী হচ্ছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া আছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আংশিকভাবে চালু থাকায় সেগুলো যে কোনো সময় চালুর ক্ষেত্রে বাড়তি প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে না। শিক্ষাঙ্গন খোলার পর দেড় বছরের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে যত্নবান হতে হবে। এটি সবার কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর