বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ট্রলারের ধাক্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বিজয়নগরের লইস্কা বিলে বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে ২২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসন এ নির্দেশনা জারি করে। গতকাল সকাল থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নৌযান চালুর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিতাস নদসংলগ্ন লইস্কা বিলে যাত্রী ও বালু বোঝাই ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের মধ্যে ১৬ জনের নাম জানা যায়। নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশত যাত্রী। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। আহতের কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রলারের যাত্রী মোহাম্মদ রাফি বলেছেন, ট্রলারের ছাদে বসে ছিলাম। বিজয়নগরের চম্পকনগর নৌকাঘাট থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় ট্রলারটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। আমি ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়ে সাঁতরে ওপরে উঠি। ইতিমধ্যে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিছু লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের হাতে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বালুবাহী ট্রলারের চালকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ইঞ্জিনচালিত নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হয়েছিল। একটি ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পেছন থেকে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রলার। এমন ঘটনা প্রতি বছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ঘটে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনে বিধিনিষেধ থাকলেও অধিকাংশ চালক ট্রলার মালিক কিংবা মালিক সমিতি তা মানেন না। ফলে নদীপথে নিয়মিত প্রাণহানি ঘটে। এ বিষয়ে যাত্রী, ট্রলার চালক ও মালিক সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।