সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

কক্সবাজারের উন্নয়ন

পর্যটনবান্ধব পরিবেশ প্রত্যাশিত

কক্সবাজার বিমানবন্দরের চেহারাই পাল্টে যাবে এর রানওয়ে সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে। এ প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ থেকে ১০ হাজার ৭০০ ফুটে উন্নীত হবে। এর মধ্যে ৩০০ ফুট রানওয়ে নির্মিত হবে সমুদ্রের ওপর। বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশি ছুঁয়ে বিমান নামবে কক্সবাজারে। দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ের এ প্রকল্পটি গতকাল ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পর্যটন নগরীর বিমানবন্দরটির সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। সারা বিশ্ব থেকে যাতে সুপরিসর বড় বিমানগুলো কক্সবাজারে নামতে পারে সেভাবে তৈরি করা হচ্ছে রানওয়ে। বিদেশ থেকে সরাসরি পর্যটকরা কক্সবাজারে এসে এখানকার পাহাড়, সাগরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। কক্সবাজারে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতসহ নানা পর্যটন স্পট। এগুলোকে সামনে রেখে চলছে পর্যটনকেন্দ্রিক নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। সমুদ্র রানী কক্সবাজারকে বিশ্ব পর্যটকদের কাছে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজে হাত দিয়েছে সরকার। সারা দুনিয়ায় পর্যটন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন সুন্দরবন। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার দুনিয়ার সেরা বাঘ হিসেবে স্বীকৃত। চিত্রল হরিণের কোনো তুলনা নেই বললেই চলে। বাংলাদেশকে বলা হয় নদী-নালা-হাওর-বাঁওড়ের দেশ। পর্যটকদের কাছে যার আকর্ষণ অসামান্য। বাংলাদেশে রয়েছে বৌদ্ধ, হিন্দু ও মুসলিম প্রত্নতত্ত্বের অসংখ্য নিদর্শন। কবির ভাষায় এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। কিন্তু পর্যটন সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো, পর্যটনবান্ধব সংস্কৃতি ও যোগাযোগের অভাবে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া দেশ। আশা করা যায় সাগর প্রান্তে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারিত হলে তা পর্যটক টানার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর