কালিজিরাকে বলা হয় সব রোগের মহৌষধ। খাবারে অরুচি, শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, চুল পড়া, সর্দি, দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, কাশি, উদরাময়, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মাথা ব্যথা, চুল পড়া, অনিদ্রা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, মাথা ঝিমঝিম করা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্ক্রিয়তা ও অলসতা, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালিজিরা উপযোগী।

প্রতিদিন চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালিজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদও বিগলিত হয়।

মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালিজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সব রোগ -মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

জ্বর, গায়ে ব্যথা, কফ দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায় কালিজিরা।

সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।

কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল্ল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এ উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।

কালিজিরা মেধা বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।

দাঁতে ব্যথা হলে কুসুমগরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিব, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে। দেহের কাটাছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে। এর যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অর্জিত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপূর্ণ নিদ্রা হয়। প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা খাওয়া হয়।

বহুমূত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি ও উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে।

আলমগীর মতি।