মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্যা উৎকণ্ঠা

ত্রাণ তৎপরতা বাড়াতে হবে

বাংলার ‘হারানো’ বন্যা আবার ফিরে এসেছে। সঙ্গে ফিরে এসেছে লাখো মানুষের দুর্ভোগ। চলমান করোনা মহামারী আর কত দীর্ঘস্থায়ী হবে এ দুশ্চিন্তার সঙ্গে যোগ হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা। জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া বন্যায় দেশের উত্তরাঞ্চলের একাধিক জেলা প্লাবিত হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে ব্যাপক এলাকাজুড়ে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা রয়েছে ১২ জেলায়। যমুনাসহ সাত নদ-নদীর ১৫ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে পদ্মার পানি গোয়ালন্দ ও সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা

নদীর পানি ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ, পোড়াবাড়ী, মথুরা ও আরিচা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধলেশ্বরীর পানি এলাসিন, আত্রাইয়ের পানি বাঘাবাড়ী, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী, ধরলার পানি কুড়িগ্রাম এবং দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। অনেকে পানির মধ্যেই মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের চরম ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা মোকাবিলার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি ও উদ্যোগের প্রয়োজন হবে। যাদের ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়েছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হবে। তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ এখন পর্যন্ত যৎসামান্য। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবারের বদলে নগদ টাকা বিতরণ করা উচিত, যাতে বন্যার্তরা নিজেরাই খাবার কিনতে পারেন। এতে চাল বিতরণের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব হবে। বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর