মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

পোলট্রি ফিডের মূল্যবৃদ্ধি

সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিন

পোলট্রি ফিড বা মুরগির খাবারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কঠিন সংকটে পড়েছে দেশের পোলট্রি শিল্প, যা নিঃসন্দেহে একটি উদ্বেগজনক খবর। ধারণা করা হয়, গার্মেন্টের পর পোলট্রি খাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ কর্মরত। স্বকর্মসংস্থানেও ভূমিকা রাখছে এ শিল্প। পোলট্রি ফিডের দাম দফায় দফায় বাড়লেও ডিম ও মুরগির দাম না বাড়ায় বহু ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ মেটানোও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পোলট্রি ফিডের এক বড় অংশ আসে বিদেশ থেকে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্তাব্যক্তিদের ভাষ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন ও ভুট্টার দাম বেড়েছে। করোনায় দেশের বাইরে থেকে পোলট্রি খাদ্য আমদানিতে পরিবহন খরচ বাড়ছে। দেশেও ভুট্টা চাষ কম হচ্ছে। যে কারণে পোলট্রি ফিডের দাম বেড়েই চলেছে। এ পরিস্থিতিতে খামারিদের পাশে দাঁড়ানো এবং সিন্ডিকেট করে মূল্য যেন না বাড়ানো হয় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। এ মুহুর্তে দেশি কাঁচামাল দিয়ে পোলট্রি খাদ্যের চাহিদা মেটানোর উদ্যোগ দরকার। তা ছাড়া খামারিরা যেন মুরগি ও ডিমের ন্যায্যমূল্য পান সে ব্যাপারেও তদারকি বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের হিসাবে ২০২০ সালের লকডাউনে দেশে ৩০-৩৫ শতাংশ পোলট্রি ফার্ম বন্ধ হয়ে যায়। করোনায় সব মিলিয়ে এ খাতের ক্ষতি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। পোলট্রি শিল্প দেশবাসীর আমিষ চাহিদা পূরণে যেমন মুখ্য ভূমিকা পালন করছে তেমন স্বকর্মসংস্থানেও রাখছে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান। এ প্রেক্ষাপটে দেশেই যাতে পোলট্রি খাদ্য তৈরি হয় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এটি সম্ভব হলে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। বেঁচে যাবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। তবে দেশি উৎপাদনকারীরা যাতে সিন্ডিকেট করে সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকেও সতর্ক থাকা দরকার। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকার এ বিষয়ে চোখ-কান খোলা রাখবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর