সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সংসদীয় আসন

সীমানা জটিলতার অবসান ঘটুক

সংসদীয় আসনের সীমানা জটিলতা নিরসনে নির্বাচন কমিশন দৃশ্যত ‘পিঠে বেঁধেছি কুলো কানে দিয়েছি তুলো’ নীতি গ্রহণ করেছে। সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা জটিলতা নিয়ে অনেক অভিযোগ জমা রয়েছে নির্বাচন কমিশনে। রয়েছে বেশ কিছু মামলা। আশা করা হয়েছিল সীমানা জটিলতার অবসানে নির্বাচন কমিশন ন্যায়ভিত্তিক পদক্ষেপ নেবে। সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে যেসব অসংগতি রয়েছে ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে তার অবসান ঘটবে। কিন্তু শনিবার ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’ সংসদে পাস হওয়ায় সীমান্ত জটিলতার অবসান না ঘটিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিলে বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, ‘দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ স্মর্তব্য, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যমান নির্বাচনী আইনগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। একাদশ জাতীয় সংসদের আগে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনটি সংস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু তা না হওয়ায় বিদ্যমান আইনেই সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, সংসদের বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার ঐতিহ্য উপেক্ষিত হয়েছে। নির্বাচনে এমন আসন রয়েছে যার সীমানা প্রায় ৯০ কিলোমিটার। তিন চারটি উপজেলা সংবলিত নির্বাচনী এলাকাও রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখন্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় ৬২টি আসন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো আসনের জনসংখ্যার তারতম্য অন্য আসনের চেয়ে ২৫ শতাংশেরও বেশি। সংসদীয় আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমতার বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়া উচিত। সীমানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করা গেলে সেটিই হবে সর্বোত্তম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর