বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা টেস্টে ভোগান্তি

বেসরকারি হাসপাতালের সুমতি ফিরুক

করোনাভাইরাস দুনিয়াজুড়ে মানব জাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। তার পরও একশ্রেণির মানুষ সংবরণ করতে পারছে না মুনাফার লকলকে জিব। বাংলাদেশে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে চলছে নির্দয় ব্যবসা। ঐতিহ্যগতভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় থাকে যাচ্ছেতাই অবস্থা। ফলে করোনার টেস্টে নাগরিকদের ভোগান্তি নিয়তির লিখন হিসেবে বিবেচিত হয়। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সরকারি হাসপাতালগুলোয রোগীর চাপ বেশি থাকায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। বেসরকারি হাসপাতালে খরচ বেশি হওয়ায় অনেকের সামর্থ্যে কুলায় না। টেস্ট কিটের দাম কমলেও বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে টেস্টের খরচ কমেনি। জরুরি ভিত্তিতে এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা না নিলে করোনা শনাক্তে ভোগান্তি থেকেই যাবে। দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে ৫৬টি আরটিপিসিআর টেস্ট ল্যাব, ৫১টি জিন এক্সপার্ট টেস্ট ল্যাব ও ৫৪৫টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব চালু রয়েছে। বেসরকারিভাবে ৮৩টি আরটিপিসিআর টেস্ট ল্যাব, তিনটি জিন এক্সপার্ট টেস্ট ল্যাব ও ৫৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব কার্যক্রম চালাচ্ছে। প্রতিদিন ৭৯৭টি ল্যাবে আড়াই থেকে ৩ হাজার নমুনা টেস্ট চলছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টেস্টের বিকল্প নেই তাই সরকারি ল্যাবের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবকেও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। মহামারীতে ব্যবসা নয়, মানবিকতাকে প্রাধ্যন্য দিয়ে সাধারণ মানুষের সামর্থ্যরে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। আগে কিটের দাম আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা ছিল। এখন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় নেমে এসেছে। সোজা কথায় করোনা টেস্টের রেট গড়ে ২ হাজার টাকা কমালেও বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর আয় কমবে না। তার পরও তারা বিপন্ন মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসার মনোভাব ত্যাগ করতে পারছে না। করোনা চিকিৎসায় টেস্টের বিকল্প নেই, এজন্য সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধারদের মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর