বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভ্রাম্যমাণ আদালত

খাদ্যপণ্য নকল ভেজাল বন্ধ হোক

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দেশের বিভিন্ন স্থানে ভেজাল, মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির দায়ে দুই শতাধিক অসাধু ব্যবসায়ীকে শাস্তি দিয়েছেন। অভিযানে অপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের পাশাপাশি আটক বিপুল পরিমাণ ভেজাল ও মানহীন খাদ্যপণ্য ধ্বংস করা হয়। উল্লেখ্য, গত রবিবার সারা দেশে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ২৪৮ দালালকে জেল জরিমানার শাস্তি দেয়। এর এক দিন পর মঙ্গলবার র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন দেশব্যাপী একযোগে ভেজাল, মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। এর আগে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সব সরকারি দফতর বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করা প্রয়োজন তাদের সমন্বয় করা হয়। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্মকর্তার সমন্বয়ে ভেজাল ও মানহীন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মজুদকারী ও বিক্রেতাসহ অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। দেশব্যাপী পরিচালিত অভিযানে ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৫ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে ৯৭ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে। এ সময় ছয় অসাধু ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। দুর্নীতি ও নকল ভেজালের বিরুদ্ধে আদালতের কার্যক্রম জনমনে প্রশংসা কুড়িয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম দু-একটি অভিযানে থেমে থাকবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের টাকায় পরিচালিত হলেও সাধারণ মানুষের পক্ষে সেখানে কোনো ধরনের সেবা পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। বাজার থেকে খাঁটি ও নির্ভেজাল খাদ্যপণ্য কিনতে পাওয়াও এখন ভাগ্যের ব্যাপার। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকলে তা অপরাধীদের মনে ভয় ঢুকাতে অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর