শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নদী ভাঙন

বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

দেশের সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি সুসংবাদ। তবে তার অন্য পীঠেই রয়েছে নদী ভাঙনে একের পর এক ঘরবাড়ি-স্থাপনা বিলীন হওয়ার দুঃসংবাদ। বন্যার ছোবলে মানবেতর জীবনযাপন করা নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে ভয়াবহ ভাঙনে। জানমাল রক্ষায় অনেকেই ঘরের আসবাবপত্রসহ খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী বুধবার সকালেও দেশের নয়টি নদ-নদীর পানি ১২টি পানিসমতল স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি কমছে। এর ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। তবে এ উন্নতিকে সুসংবাদের বদলে দুঃসংবাদ হিসেবে দেখছেন নদীপাড়ের অধিবাসীরা। কারণ নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অনেক হতদরিদ্রের শেষ আশ্রয়টুকু। এ ছাড়া বাড়িঘরে বন্যার পানি থাকায় এখনো ঘরে ফিরতে পারেননি অনেক মানুষ। কেউ খোলা আকাশের নিচে, কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে অনেক মানুষ গাদাগাদি করে থাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পশুখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ নদ-নদীর দেশ। বর্ষা মৌসুমে ঘনবর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলে এ দেশে বন্যা দেখা দেয়। বন্যা দৃশ্যত অভিশাপ বলে বিবেচিত হলেও নদীর পলি জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে। তাতে কৃষক লাভবান হয়। তবে নদী ভাঙন একতরফাভাবে সর্বনাশই ডেকে আনে। তাই নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। বিপন্ন মানুষ যাতে মাথা গোঁজর ঠাঁই পান তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর