শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কিশোর গ্যাং

পরিবারকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে

অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন পশ্চিমা বিশ্বে বেশ অনেক বছর আগে যে গ্যাং কালচারের সূত্রপাত তার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে নতুন এ সংস্কৃতির। এ কিশোরেরা সমাজের মধ্যে নিজেদের মতো করে নতুন

এক সমাজ গড়ে তুলছে। এ সমাজের সংস্কৃতি, ভাষা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ সবকিছু আলাদা। এ সমাজের যারা সদস্য তাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। পেশিশক্তি দেখিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখা, দলে-বলে চলা এদের বৈশিষ্ট্য। দেশজুড়ে নগরকেন্দ্রিক গ্যাং কালচার ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। মাদক নেশায় জড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে চুরি, ছিনতাই, ইভ টিজিং, মাদক ব্যবসা, এমনকি নিজেদের অভ্যন্তরীণ বা অন্য গ্যাং গ্রুপের সঙ্গে তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করে খুনখারাবি থেকেও পিছপা হচ্ছে না কিশোর অপরাধীরা। আরও উদ্বেগের বিষয়, মাদক নেশার টাকা জোগাড়ে ছোটখাটো অপরাধে জড়ানো বিভিন্ন গ্যাংয়ের সদস্যরা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠছে ভয়ংকর অপরাধী, এলাকার ত্রাস। এর পেছনের অন্যতম কারণ রাজনৈতিক বড় ভাইদের স্বার্থের প্রশ্রয়। পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়া এসব কিশোর স্কুল-কলেজের মোড়ে দলবেঁধে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা থেকে মাদক সেবন, চুরি, ছিনতাই এবং খুনের মতো অপরাধও করে থাকে নির্দ্বিধায়। ছোট-বড় কাউকেই করে না সমীহ। পারিবারিক অনুশাসন না থাকায় তারা নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশসূত্র বলছেন, রাজধানীতে প্রতি মাসে হত্যার ঘটনা ঘটে গড়ে ২০টি। এর বেশির ভাগ ঘটনায় কিশোর অপরাধীরা জড়িত বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। সামাজিক যে অনুশাসনগুলো ছিল এগুলো সমাজে কাজ করছে না। যেমন সমাজের ভিতর পরিবার, প্রতিবেশী, এলাকাভিত্তিক সংস্কৃতিচর্চা, বন্ডিং- এগুলো নষ্ট হয়ে ছন্দপতন ঘটছে। এসব কারণে কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর অপরাধ রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি পরিবারকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর