রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলছে স্কুল-কলেজ

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

ইউনিসেফের মতে, বাংলাদেশ ছাড়া আরও ১৩টি দেশে ২০২০ সালের মার্চ থেকে লাগাতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে অব্যাহতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। দেশে প্রথম কভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। পর্যায়ক্রমে সবকিছু খুলে দিলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি বারবার পিছিয়ে অবশেষে এ বছরের ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ এবং ২৩ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মার্চের শুরুতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সরকার আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়। কয়েক মাস পর বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ খুলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ১৯ দফা নির্দেশনা। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে এজন্য তাদের মধ্যে বইছে খুশির আমেজ। কিন্তু সম্প্রতি বন্যায় দেশের বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক স্কুল। হাজার হাজার স্কুল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এখনো বন্যার ক্ষত অনেক স্কুলে। সব মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এসব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় নোংরা ও বিবর্ণ হয়ে গেছে। চেয়ার-টেবিল ময়লা-আবর্জনা আর মাকড়সার জালে সৌন্দর্য হারিয়েছে। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধোয়ামোছাসহ পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। তবে যেসব বিদ্যালয় বন্যার পানিতে প্লাবিত তাদের শিক্ষার্থীরা কীভাবে ক্লাস করবে তা নিয়ে কোনো দিকনির্দেশনা এখনো দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘ শিশু তহবিল গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানায়, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী স্কুল বন্ধ থাকায় ১৬০ কোটি শিশু পড়ালেখার বাইরে চলে গেছে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার যে ক্ষতি তা এসব শিশুর ভবিষ্যৎ আয়ের বিবেচনায় ১০ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের সমান। সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর