শিরোনাম
রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চালের দামে ঊর্ধ্বগতি

কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পথ বন্ধ করুন

দেশে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়েছে এ বছর। সরকারি গুদামগুলোয় রয়েছে ৫ কোটি মণ চালের মজুদ। যা গত বছরের এ সময়ের চেয়ে ১ কোটি মণের বেশি। দেশে চাহিদা অনুযায়ী চালের মজুদ থাকা সত্ত্বেও সরকার ১৬ লাখ টন অর্থাৎ ৪ কোটি ৪০ লাখ মণ চাল বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দিয়েছে; যা চলতি মাসের শেষ অথবা আগামী মাসের শুরুতেই বাজারে আসবে। তার পরও চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে চাল ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কৃষকের ঘরে ধান ওঠার পর তা চলে যায় চালকলগুলোয়। তখন তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এমন অভিযোগ প্রবল। কৃষি বিপণন অধিদফতরের তথ্যমতে গত এক সপ্তাহে বাজারে সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ টাকা। গত সপ্তাহে ৬৫ টাকার সরু চাল এ সপ্তাহে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাস্তবে ভালো সরু চাল ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এমনটিই জানিয়েছেন অনেক ভোক্তা। তাদের মতে ৫০ টাকার নিচে মোটা চাল আর ৭৫ টাকার নিচে ভালো চিকন চাল পাওয়া যায় না। মজুদ বাড়াতে এবং চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৪ লাখ ৫৩ হাজার টন সিদ্ধ ও ১ লাখ ৯৭ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ সুবিধা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। সন্দেহ নেই চাল আমদানির পর বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে আমদানির সঙ্গে যেসব চাল ব্যবসায়ী জড়িত তাদের সদিচ্ছা নিশ্চিত না হলে পরিস্থিতির উন্নতি না-ও হতে পারে। চালের বাজারে কেউ যাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষক সমবায়ের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ধান সংরক্ষণ, চাল উৎপাদন ও বাজারজাতের উদ্যোগ নেওয়া হলে কৃষক যেমন ন্যায্যমূল্য পাবে তেমন বন্ধ হবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পথ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর