শিরোনাম
সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ভেষজ

চালকুমড়া

আলমগীর মতি

চালকুমড়া বর্ষজীবী লতা। সবজি ও তরকারি হিসেবে চালকুমড়ার ব্যবহার থাকলেও এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। চালকুমড়ায় আছে শর্করা, প্রোটিন, আঁশ, চর্বি, ক্যালসিয়াম আয়রন ফসফরাস, জিংক, থায়ামিন (বি১), রিবোফ্লাবিন (বি২), নিয়াসিন (বি৬), ফোলেট, ভিটামিন সি। এ ছাড়া বিটা-সিটোস্টেরল, লুপেওল, আইসো-ভিটোক্সিন থাকে।

বীজে : শুকনা বীজে ৫৮.৪৩%, আঁশ ১১.৬৩%, প্রোটিন, চর্বি ২০%, শর্করা ৫.১৪%, খাদ্যশক্তি ২৫৩ কিলোক্যালরি। চালকুমড়ার তেলে আলফা টোকোফেরল, ডেল্টা টোকোফেরল ডায়াবেটিস দূর করে। চালকুমড়া গাছের লতার নির্যাস রক্তের গ্লুকোজ লেভেল কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে, তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চালকুমড়ার লতা কার্যকর ভেষজ। চালকুমড়া এবং চালকুমড়ার বীজ কিডনি পাথরি দূর করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। চালকুমড়ার রস নিয়মিত সেবন করলে মূত্রকৃচ্ছ্রতা এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়। হাজার বছরের গবেষণা সমৃদ্ধ। চালকুমড়া স্নায়ু উদ্দীপক। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে শক্তিবর্ধক এবং ত্রিদোষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাকা চালকুমড়া শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণাগুণ বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। চার বা পাঁচ চা চামচ চালকুমড়ার রস গরম দুধে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। চালকুমড়ার শাসকে শুকিয়ে পুড়িয়ে আধা গ্রাম চূর্ণ ১ কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে সেবন করলে পেটব্যথা দূর হয়। কৃমি হলে চালকুমড়ার বীজের শাস শুকিয়ে ১ চা চামচ পরিমাণ বেটে পানিসহ খেলে কৃমি দূর হয়। গবেষণায় দেখা গেছে বিটা সিটোস্টেরল সমৃদ্ধ। চালকুমড়ার নির্যাস গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করতে সাহায্য করে। চালকুমড়া শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা থেকে বিরত রাখে এবং তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। চালকুমড়ার শাঁস মধুসহ খেলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। চালকুমড়া নিয়মিত খেলে এবং মাথায় চালকুমড়ার তেল ব্যবহার করলে অনিদ্রা দূর হয়। চালকুমড়ার পাতার নির্যাস শুকনো চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।

             

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর