বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

উপজেলা পরিষদ

জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে রায়

উপজেলা চেয়ারম্যানদের ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকায় দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে হাই কোর্টের নির্দেশনায়। এক রিট শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চের রায়ে উপজেলা পরিচালনায় চেয়ারম্যানদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা অপসারণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আদালত উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দফতরের কার্যক্রম চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য ইউএনওদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে ইতিপূর্বে জারিকৃত সার্কুলার অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে ইউএনওরা যাতে ওই সার্কুলার অনুসরণ করেন সেজন্য পৃথক আরেকটি সার্কুলার জারির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। উপজেলা পরিষদ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী সব বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে ইউএনওরা পরিচালনা করবেন। এ বিষয়ে একাধিক সার্কুলারও জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইউএনওরা তা অগ্রাহ্য করে নিজেরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে উপজেলা পরিষদকে অভিহিত করেন। আদালত ২০১০ সালের বিধিমালা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউএনওদের মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ১৬ বিবাদীকে সার্কুলার জারির আদেশ দিয়েছে। সার্কুলারে হাই কোর্টের আদেশের বিষয়টিও উল্লেখ করতে হবে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নেই উপজেলা পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বদলে উপজেলা পরিষদ যেভাবে আমলাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আদালতের তাৎপর্যপূর্ণ রায় সে দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর