শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনার মেগা প্রকল্প

যথাসময়ে কর্ম বাস্তবায়ন করতে হবে

করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আবারও শুরু হয়েছে মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। পদ্মা সেতু চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের অর্থনীতি। মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, খুলনা-মোংলা রেললাইন ও চার লেন সড়ক, মোংলা ইপিজেড, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিল্প ও বিনিয়োগ বাড়বে। তৈরি হবে বিপুল কর্মসংস্থান। ২০১৭ সালে প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ কাজ চলমান। এটা শেষ হলে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি মোংলা বন্দরের মালামাল লোড-আনলোডে গতি ফিরবে। সেই সঙ্গে নাব্য বজায় রাখতে মোংলা বন্দর থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও জেটির অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে। শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে খুলনার বটিয়াঘাটা ও তেরখাদায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য রূপসারও একটি প্রস্তাব রয়েছে। বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ উন্নয়ন প্রকল্প, খুলনার শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৩০ মেগাওয়াট ডুয়েলফুয়েল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দুর্যোগ মোকাবিলায় হাজার কোটি টাকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প, জলাবদ্ধতা নিরসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন কাজ চলমান। মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় আয়বৈষম্য হ্রাস পেলে তা বিনিয়োগে ভারসাম্য আনবে। তবে দুঃখজনক হলো, দেশে মেগা প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময় ও অর্থে শেষ হয় না। এর কারণ প্রকল্প কর্মকর্তাদের অদক্ষতা; এডিপিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দেওয়া; দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে মূল কাজ শুরুতে বিলম্ব^ ইত্যাদি। কখনো নানা কারণ দেখিয়ে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়। ফলে অর্থের অপচয় ও অপব্যবহারের প্রবণতা থাকে। সুতরাং বড় যে কোনো প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়নে নিয়মিত তদারকি বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর