সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ই-কমার্স প্রতারণা

আইন প্রয়োগকারীদের সক্রিয়তা কাম্য

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে বাংলাদেশে পাতা হয়েছে গ্রাহকদের প্রতারণায় ফেলার ফাঁদ। অগ্রসর দেশগুলোতে ই-কমার্স অর্থনীতিতে বিশিষ্ট ভূমিকা রাখলেও বাংলাদেশে ঘটছে বিপরীত ঘটনা। বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দুই শীর্ষ হোতা গ্রেফতারের পর চাউর হয়ে পড়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি ছিল তরুণদের জন্য পাতা এক প্রতারণার ফাঁদ। ইতিমধ্যে ইভ্যালির সিইও-এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন রিমান্ডে পুলিশের কাছে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। ইভ্যালির বিরুদ্ধে লাখ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ রয়েছে। গুলশান থানা পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জানার চেষ্টা করছে লাখ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে তারা কী করেছেন। তরুণদের টার্গেট করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইভ্যালি নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করতেন। সস্তায় মোটরসাইকেল, গাড়ি, ল্যাপটপ, ফ্রিজসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে তরুণরা জড়িয়ে পড়ত ইভ্যালির পাতা ফাঁদে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রতারণার মাধ্যমে তারা অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যে অর্থের এক বড় অংশ হয়তো বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করা হলেও ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে সামান্য কিছু টাকা। সোজা কথায়, গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো অর্থই তাদের অ্যাকাউন্টে নেই। এ প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জ শুধু নয়, অন্য প্রতারক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও তদন্ত চালাচ্ছে। প্রতারণার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।  তাদের উদ্দেশ্য মহান হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রতারণার দায় এড়াতে পারে কি না তা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। তারা সময়মতো সক্রিয় হলে ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো প্রতিষ্ঠান যে মাথা উঁচু করতে পারত না তা সহজে অনুমেয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর