মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নকল ওষুধ

অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করুন

স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ এগিয়ে। ইউরোপ, আমেরিকার বাজারেও রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। কিন্তু প্রদীপের নিচেই রয়েছে ঘন অন্ধকার। নকল ওষুধ উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বাংলাদেশে। রোগ নিরাময়ের জন্য সরল সোজা মানুষ নকল ওষুধ কিনে প্রতারিত হচ্ছে। জীবনও হারাচ্ছে মানুষ। দেশের বেশির ভাগ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মানসম্মত ওষুধ তৈরি করলেও মানহীন ওষুধ উৎপাদনে জড়িত প্রতিষ্ঠানও কম নয়। বিশেষত ইউনানি বা আয়ুর্বেদীয় ওষুধ তৈরির লাইসেন্স নিয়ে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান নকল ওষুধ তৈরি করছে এমন অভিযোগও ওপেন সিক্রেট। এসব ওষুধ বাজারজাতকরণে জেনেশুনে ভূমিকা রাখছে মিটফোর্ডের কিছু পাইকারি ওষুধ ব্যবসায়ী। গত শনিবার মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতার করেছে তিন জালিয়াতকে। এর আগে ১২ আগস্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কোতোয়ালি জোনাল টিম রাজধানী ঢাকা, সাভার ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ বিসিক শিল্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করে। গ্রেফতার করে আটজনকে, যারা রীতিমতো কারখানা বানিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ তৈরি করতেন। তাদের কারখানা থেকে নকল ওষুধ তৈরির ডায়াস ও মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে। এর কিছুদিন আগে ডিবির গুলশান বিভাগ ২৯ জুন রাজধানীর হাতিরপুল, রামপুরা, মালিবাগ ও নারায়ণগঞ্জের জালকুড়িতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে। এরা ইচ্ছামতো নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধও তৈরি করছিলেন। একই ওষুধ একেক সময় হয়ে উঠছিল হার্টের ওষুধ, কখনো বা লিভারের, আবার কখনো হাড় ক্ষয়ের। চলতি বছর নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনে ১ হাজার ৭০০ মামলা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৪৯ জনকে। নকলবাজদের নখর ভাঙতে আরও জোরদার প্রয়াস চালাতে হবে। ওষুধ নকলের জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডের কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর