বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্থানীয় সরকার নির্বাচন

হানাহানির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক

আমাদের দেশে নির্বাচন বা ভোটকে বলা হয় জনগণের উৎসব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষ কতটা আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠে ২০০৮ সালের নির্বাচন তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। তার পর থেকে ক্রমান্বয়ে নির্বাচন যেন নিজ স্বকীয়তা হারাচ্ছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আমলে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সরকারকে বলা হয় জনগণের সরকার। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রার্থী সংকট দেখা দিয়েছে এ নির্বাচন কমিশনের আমলে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একের পর এক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা আর যা-ই হোক নির্বাচনের ওপর মানুষের আস্থার নিদর্শন নয়। প্রথম ধাপের আটকে থাকা ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সহিংসতায় দুজনের প্রাণহানি প্রমাণ করেছে নির্বাচন কমিশন মানুষের জীবনের নিরাপত্তাদানেও ব্যর্থ হচ্ছে। সোমবারের নির্বাচনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের ইউপি ভোট। মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার দুটি কেন্দ্র ঘিরে দুজনের প্রাণহানি ছাড়া অন্যত্র নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়মের কারণে পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি ইভিএমে ইউপিতে ভোট পড়েছে অন্তত ৫০ ভাগ আর পৌরসভায় ৫৫ ভাগ এবং ইউপিতে ব্যালটের মাধ্যমে যেসব জায়গায় ভোট হয়েছে সেখানে ভোট পড়েছে ৬৫ ভাগের বেশি। কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলি ও সংঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ব্যালট পেপার ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন সড়ক অবরোধ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করেন। জাল ভোটের মহোৎসব চলেছে নোয়াখালী ও সাতক্ষীরায়। এমন নির্বাচন সত্যিকার অর্থেই দুর্ভাগ্যজনক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর