শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ভেষজ

কিশমিশ

কিশমিশ

আদিকাল থেকেই শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিশমিশ। এ মিষ্টি খাবারটি কেবল সুস্বাদু নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতবর্ষে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল হজমসহায়ক, ওজন বৃদ্ধিকারক ও বলকারক খাবার হিসেবে। মোট কথা কিশমিশ মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কোলেস্টেরল কমায়, চোখের সুরক্ষা দেয়, অ্যাসিডিটির সমাধান করে, কলোরেকটাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, রক্তস্বল্পতা দূর করে, দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয়। কিশমিশ এমনই একটি খাবার যা পানি বা তরল পদার্থের সংস্পর্শে এসে ফুলে ওঠে এবং এতে পানি প্রবেশ করে। এ বিশেষত্বই একে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় ব্যবহারে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে আছে ৩ দশমিক ৭ গ্রাম গলন-অযোগ্য আঁশ বা ইনসলিউবল ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম করতে ভূমিকা রাখে। প্রচুর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ আছে কিশমিশে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশ প্রায় ২৫০ ক্যালরি ধারণ করে। তবে একই কারণে ওজনাধিক্য ও ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি কিশমিশ খাওয়া বারণ। ১০০ গ্রাম কিশমিশে যে পরিমাণ লোহা আছে তাতে একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার ২৩ শতাংশ পূরণ করে। রক্তশূন্যতা দূরীকরণে ও গর্ভাবস্থায় তাই কিশমিশ খাওয়া উচিত। এ ছাড়া এতে আছে কেটেচিন ও রেসভেরাপট্রল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। কিশমিশের ২৬ শতাংশ হলো শর্করা, ১৫ শতাংশ আঁশ, আমিষ আছে ৬ শতাংশ ও চর্বি মাত্র ১ শতাংশ। আছে পটাশিয়াম ২১ শতাংশ এবং লোহা ১০ শতাংশ। এ ছাড়া আছে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ও কপার।  দীর্ঘ রোগভোগের পর শক্তি ও দ্রুত ওজন বাড়াতে কিশমিশের ব্যবহার প্রচলিত।

আলমগীর মতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর