শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সংকট

দায় এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের

রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি গভীরতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের পর সমস্যাটি যে এতটা জটিল হয়ে উঠবে তা অনেকের ভাবনায়ও ছিল না। উপরন্তু এর কিছুদিন পরই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি হয়, যার ফলে মনে হয়েছিল দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে কোনো ধরনের সংকট ছাড়াই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাবে এবং সমস্যাটি দীর্ঘায়িত হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এ সমঝোতার কোনো বাস্তবিক প্রয়োগ দেখা যায়নি। রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হতে থাকায় উদ্ভূত হতাশার ফলে বহুমুখী বিপদের জন্ম হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এমন কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত ‘ফোরসিবলি ডিসপ্লেস মিয়ানমার ন্যাশনালস (রোহিঙ্গা) ক্রাইসিস : ইম্পারেটিভস ফর এ সাসটেইনেবল সলিউশন’ শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট একটি আন্তসীমান্ত ও আঞ্চলিক সমস্যা। সুতরাং এ মানবিক সংকটের সমাধান করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরই দায়িত্ব। গুরুতর এ সংকট দীর্ঘায়িত হলে আমাদের সবার নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়বে। প্রত্যাবাসনের উদ্যোগে কোনো উন্নতি না হওয়ায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। তাদের অনেকে নানা অপরাধমূলক কাজে জড়াচ্ছে।’ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। সুতরাং অবশ্যই নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারেই ফিরে যেতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে পড়া অনগ্রসর ও অব্যাহতভাবে নিপীড়িত রোহিঙ্গারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই যে কোনো মূল্যে দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নিয়েছে। তাদের প্রতি বাংলাদেশ মানবিক হবে কিন্তু অনির্দিষ্টকাল তাদের বোঝা বহন করতে পারে না। এ কারণেই ‘মূল কারণ’ দূর করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর