শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

হালাল পণ্যের বাজার

পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে

করোনা মহামারীর কারণে ২০১৯ সালে বিশ্ববাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও হালাল বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাংশের ওপরে। মুসলিম দেশগুলোর বাইরে এখন ইউরোপ ও আমেরিকার মতো পশ্চিমা দেশগুলোয় হালাল পণ্যের বাজার বাড়ছে। সারা বিশ্বে হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হলেও সম্ভাবনাময় এ বাণিজ্য খাতে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ার পরও হালাল বাণিজ্যে সামগ্রিক স্কোরে শীর্ষ ১৫ দেশের মধ্যে নেই বাংলাদেশ। শুধু হালাল ফ্যাশনে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে থাকলেও হালাল খাদ্য, ইসলামিক ফাইন্যান্স, হালাল ট্যুরিজম, হালাল ফার্মা ও কসমেটিকসে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ দশে নেই। স্টেট অব দ্য গ্লোবাল ইসলামিক ইকোনমি রিপোর্ট ২০২০-২১-এর তথ্যানুযায়ী ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে হালাল পণ্য ও সেবা খাতে খরচ করে মোট ২ ট্রিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৪ সালে হালাল বাণিজ্যের পরিমাণ ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে বলে ওই রিপোর্টে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেবল নীতিগত সিদ্ধান্তের অভাবে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে সারা বিশ্বে সম্ভাবনাময় এ হালাল বাণিজ্যের বাজার। কেবল হালাল পণ্য নয়, সাধারণ পণ্যের ক্ষেত্রেও বিএসটিআইর সার্টিফিকেটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ফলে বিশেষায়িত পণ্যের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এ দুর্বলতাগুলো দূর করতে বিএসটিআইর উচিত হবে আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলোর সহায়তায় নিজেদের মান নির্ণয় কার্যক্রমকে আরও উন্নীত করা, যাতে আমাদের রপ্তানিকারকরা বিনা প্রশ্নে যে কোনো দেশে হালাল পণ্য রপ্তানি করতে পারে। তা হলেই শুধু বিশ্বব্যাপী হালাল বাণিজ্যের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা ধরতে পারবে বাংলাদেশ। এত দিন হালাল পণ্যের সার্টিফিকেট আসত ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে। যেহেতু বিএসটিআইর মান নির্ণয়সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও সক্ষমতা আছে সুতরাং পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা নিয়ে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন স্বীকৃতি দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর