সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বুড়িগঙ্গার দখল দূষণ

এই কান্ডজ্ঞানহীনতার অবসান কাম্য

বুড়িগঙ্গাসহ রাজধানীর চার নদ-নদী দখলবাজ ও দূষণবাজদের থাবা থেকে কিছুতেই মুক্তি পাচ্ছে না। নদ-নদী সুরক্ষার দায়িত্ব যাদের তাদের একাংশের সততার সংকট এই অপ্রত্যাশিত অবস্থার জন্য দায়ী। দখল ও দূষণবাজরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অগ্রাহ্যের ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এমনকি আদালতের আদেশও অগ্রাহ্য করছে ইতর স্বভাবের দখলবাজরা। আমরা এ কলামে বারবার রাজধানীর নদ-নদী অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলার জন্য কর্তৃপক্ষীয় উদাসীনতাকে চিহ্নিত করেছি। নদ-নদী খাল বিল ঝিল জলাশয় রক্ষার দায়িত্ব যাদের তাদের নিষ্পৃহতায় বুড়িগঙ্গাসহ রাজধানীর চার নদ-নদী বিপন্ন প্রায়। বুড়িগঙ্গার পানি তো স্বাভাবিকতা হারিয়ে আল-কাতরার চেহারা ধারণ করতে চলেছে। পানির দুর্গন্ধে নদীপাড়ের সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়। দখল দূষণে নদীর এক উল্লেখযোগ্য অংশই দখলবাজদের থাবায়। রাজধানীর নদ-নদীগুলো দেড় কোটিরও বেশি নাগরিকের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। ঘিঞ্জি এ জনপদের মধ্যে নদীগুলোই মুক্ত হাওয়ার বড় আধার যা রাজধানীর ফুসফুসের মতো ভূমিকা পালন করছে বললেও অত্যুক্তি হবে না। দেরিতে হলেও রাজধানীর নদ-নদী, খাল-বিল ঝিল জলাশয় রক্ষায় সচেতন হয়ে উঠেছে দুই সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়। নদ-নদী জলাশয় রক্ষায় নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা থাকায় সব পক্ষের সক্রিয়তাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারপরও রাজধানীর চার নদীর দখল ও দূষণ থামছে না। বিশেষ করে বুড়িগঙ্গার আদি স্রোতধারা বা চ্যানেল আবারও চালুর সরকারি উদ্যোগ নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে দখলবাজদের কারণে। এ অকাম্য অবস্থার পেছনে নদ-নদী সুরক্ষায় আদালত ও সরকারের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্বে যারা তাদের গাফিলতির বিষয়টি স্পষ্ট। অভিযোগ রয়েছে, তারা দখলকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন। দখল দূষণ রোধে নদীর তীরে হাঁটাপথ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন থেমে আছে রহস্যজনকভাবে। নদী রক্ষায় গৃহীত পরিকল্পনাগুলোর সফল বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে। বুড়িগঙ্গাসহ রাজধানীর চার নদ-নদী রক্ষায় জনসচেতনতা গড়ে তোলার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর