শিরোনাম
সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষা কার্যক্রম

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আন্তরিক হতে হবে

করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর ধরে প্রায় স্থবির হয়ে আছে সারা দেশের শিক্ষা কার্যক্রম। অনলাইনে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও তার সুফল কতটা অর্জিত হয়েছে তা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। আশার কথা, করোনার প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে এবং সংক্রমণ ও মৃত্যুহার ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী হচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশের সিংহভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে জোরেশোরে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় দেড় বছর পরে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। প্রস্তুতি চলছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার। নেওয়া হচ্ছে মেডিকেল, ডেন্টাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, মধ্য নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত বছরের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর মাঝে মাঝে সংক্রমণ কমলেও নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারেনি সরকার। ফলে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার মাধ্যমে চলছিল পাঠদান। সংক্রমণ কমে আসায় স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে ক্লাস। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। আবাসিক হলগুলোয় চলছে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। বলা হয়ে থাকে শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। দেড় বছর ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘিœত হওয়ায় জাতি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পূরণের কোনো সহজ রাস্তা নেই। তারপরও শিক্ষক ছাত্র অভিভাবক সবাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে একসূত্রে কাজ করবেন এমনটিই প্রত্যাশিত। স্বীকার করতেই হবে মানুষের জীবনই সবচেয়ে মূল্যবান। মহামারীকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হতো আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার শামিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন ক্ষতি পূরণে সবাই আন্তরিক হলে অনেকটাই যে পুষিয়ে নেওয়া যাবে তা সহজেই অনুমেয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর