আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের অপরাধপ্রবণ এ জাতি গোষ্ঠীর সদস্যের একাংশ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নিজেদের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধিয়েও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে দুর্বিনীতরা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। এসব ঘটনায় অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের অভিমত, রোহিঙ্গা ক্রমেই বেপরোয়া ও অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে ক্যাম্প থেকে পালানোর প্রবণতা কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। কিছুদিন আগে ভাসানচরের আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে পালানোর সময় নারী-শিশুসহ ৪০ রোহিঙ্গা বহনকারী একটি নৌকা সাগরে ডুবে যায়। পরে কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানান, তারা চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। ক্যাম্প থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের ঢাকা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালীসহ ১১ জেলা থেকে আটক করা হয়েছে। ২৪ আগস্ট ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া ৭৪ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থেকে। অস্ত্র ব্যবসায়ও জড়িত বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দালালদের মাধ্যমে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশ ও মালয়েশিয়ায় ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যারা অবৈধভাবে অবস্থান করছে তার একাংশ রোহিঙ্গা। যার বেশির ভাগ কক্সবাজারের ঠিকানা দেখিয়ে পাসপোর্ট নিয়েছেন। এর ফলে মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার স্বার্থেই রোহিঙ্গাদের ওপর তীক্ষè নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জোর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।