বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক মরণযাত্রা

মানব পাচার রোধে উদ্যোগ নিন

মানব পাচার কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। দেশের ভাবমূর্তির ওপর তা আঘাত হানছে। দেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সীমিত হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপমুখী হওয়ার প্রবণতা বরং মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া এবং সেখান থেকে দুস্তর মরুপথ পাড়ি দিয়ে ভূমধ্যসাগর তীর থেকে নৌকাজাতীয় জলযানে ঝুঁকিপূর্ণ পথে ইউরোপে পাড়ি জমানো নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন শত শত যুবক। হতভাগ্য যুবকদের একাংশকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে। লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে শনিবার ৯২ বাংলাদেশিসহ ১৬০ জনের দল নিয়ে যাত্রা করে একটি নৌকা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা নৌকাটি চলার পর হঠাৎ ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থাতেই নৌকাটি চার দিন তিউনিসিয়া উপকূলে ভাসতে থাকে। পরে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। লিবিয়ার প্রশাসন মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে মানব পাচারে জড়িতদের ধরলেও বন্ধ হচ্ছে না পাচার। এসব অভিযানে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের যেসব নাগরিক মরণযাত্রায় মেতেছেন তাদের ধরে কারাগারে নিয়ে রাখা হচ্ছে মাসের পর মাস। টাকার বিনিময়ে তাদের অনেকে ছাড়া পাচ্ছেন। এতে দালালদের ব্যবসা জমছে। তিউনিসিয়ার ডিটেনশন সেন্টারগুলোরও একই অবস্থা। অর্থনৈতিকভাবে যেসব দেশ দ্রুত অগ্রগতি লাভ করছে তাদেরই দলে বাংলাদেশ। কিন্তু এ দেশ থেকে মানব পাচারের ঘটনা শ্রীবৃদ্ধির সুনাম প্রকারান্তরে কলুষিত হচ্ছে। ভুল বার্তা যাচ্ছে বিশ্বসমাজে। দেশের সুনামের স্বার্থে মানব পাচার সম্পর্কে সরকারকে কড়া হতে হবে। এর পাশাপাশি কেন মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ পথে অবৈধভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতে চাচ্ছে সে কারণও উদ্ঘাটন করতে হবে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে সংকট চলছে তার গ্রন্থিমোচনের উদ্যোগ নিতে হবে দ্রুত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর