বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ট্যানারি বর্জ্যে বিপন্ন ছয় নদী

বর্জ্য শোধনাগার গড়ে তুলুন

সাভারের হেমায়েতপুরের নতুন চামড়া শিল্পপল্লীর বর্জ্যে আশপাশের ছয়টি নদ-নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। চামড়া শিল্পনগরীর বর্জ্যে বংশী, ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গা, বুড়িগঙ্গা নদী এবং তুরাগ ও বালু নদের পানি দূষিত হচ্ছে। বংশী ও ধলেশ্বরীর পানি দূষিত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এ দুই নদীর সঙ্গে অন্য চার নদ-নদীর সংযোগ থাকায় সেগুলোর পানিও দূষিত হচ্ছে। এসব নদ-নদীতে মাছ নেই বললেই চলে। জলজ উদ্ভিদের অস্তিত্বও বিপন্ন। কারখানাগুলোর অপরিশোধিত বর্জ্য পরিশোধন ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এখনো গড়ে তোলা হয়নি। কঠিন ও তরল বর্জ্য পৃথক্করণের কারিগরি ব্যবস্থা নেই। চামড়া প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর বর্জ্য উৎপন্ন হয়; সেগুলো যথাযথভাবে পরিশোধন ও নিষ্কাশন নিশ্চিত করা না হলে আশপাশের পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে নদ-নদী, কৃষিজমি। পানি ও বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য সরাসরি নদ-নদী ও খাল-বিলে ফেলায় দূষিত ও কালো হয়ে গেছে এসব জলাশয়ের পানি। এতে মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠছে। বিষাক্ত পানির ব্যবহারে অনেকেই চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সাভারের বংশী নদীর কূলঘেঁষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিল্পকারখানা। নদীর দূষিত পানি দিয়ে সেচ দেওয়ায় নষ্ট হচ্ছে সবজি ও ধানের চারা। কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানি শরীরে লাগলে চর্মরোগ এবং পান করলে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা রোগ হয়। নদীরক্ষা ও দূষণ বন্ধে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ধলেশ্বরীসহ আশপাশের নদ-নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশের দূষণ এড়ানোর প্রয়োজনে চামড়া শিল্পের বর্জ্য পরিশোধনের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাটি কার্যকর একান্ত জরুরি। এ ব্যাপারে আর কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।

সর্বশেষ খবর