শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ভবন

প্রশংসনীয় উদ্যোগ, উজ্জ্বল হবে ভাবমূর্তি

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের নিজস্ব ভবন ‘বাংলাদেশ হাউস’-এর দৈন্যদশা কাটল এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক আগ্রহেই সংস্কার হওয়া ভবনটির উদ্বোধন হলো। ২৯ সেপ্টেম্বর বিকালে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পুরনো জরাজীর্ণ ভবনটির সংস্কারের জন্য সরকার ৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে। কিন্তু পাঁচ বছরেও ভবনটির সংস্কার করা হয়নি। ২০১৯ সালের জুনে ‘ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ ভবন রাষ্ট্রদূতের কিচেন’ শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনের উত্তর আমেরিকা সংস্করণ একটি সংবাদ প্রকাশ করলে গণভবন হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে ভবনটি সংস্কার করা হয়। ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন ডিসিতে যাওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ ভবনে ছিলেন। সেই স্মৃতি রোমন্থনকালে শেখ হাসিনা একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে জানান যে সেখানে বসেছিলেন জাতির পিতা। এজন্য এ ভবনের প্রতি রয়েছে তাঁর বিশেষ দুর্বলতা। এখান থেকেই ইতিহাসের সূচনা হয়েছে। করোনার কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষণ ছিল। পিতার স্মৃতিবিজড়িত ভবনটি সংস্কারের পর একান্ত আপনজনের সান্নিধ্যে এর উদ্বোধন হয়। ১৯৭৩ সালে আবুল মাল আবদুল মুহিত মেরিল্যান্ড স্টেটের বেথেস্ডায় ৪ হাইবরো কোর্টে এ ভবনটি কিনেছিলেন। পরের বছর এর উদ্বোধন করেন তদানীন্তন রাষ্ট্রদূত এম আর সিদ্দিকী; তখন এর নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ ভবন’। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কেনা জমিতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, রিয়াদসহ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের নিজস্ব ভবন

নির্মিত হয়েছে। ফলে দূতাবাসগুলোর কাযক্রম বাড়াতে পারবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সততা ও আন্তরিকতায় বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। এখন প্রয়োজন ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং দেশে আরও বিনিয়োগ। তবে দূতাবাসগুলোয় সেবার মান বাড়াতে হবে। দেশের মর্যাদা ও ঐতিহ্য সম্প্রসারণে কাজ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর