শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

গুজব বন্ধে ব্যবস্থা

অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে

প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পরিবার, সরকার, বিচার বিভাগ ও দেশের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাচ্ছে সাইবার অপরাধী চক্র। দেশে-বিদেশে বসে বাংলাদেশ-বিরোধী ভয়ংকর তৎপরতায় নেমেছে তারা। এ চক্র মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয়ে ভাড়া করছে সাইবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের চিহ্নিত করার পরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা যাচ্ছে না। বাস্তবায়ন হচ্ছে না হাই কোর্টের নির্দেশনাও। বিশ্লেষকদের মতে ফেসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমে এখন বহু ভুঁইফোড় পন্ডিতের জন্ম হয়েছে। কোনো ধরনের জবাবদিহি না থাকায় বেপরোয়াভাবে প্রতিনিয়ত বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় দেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। কিন্তু এর সুফল নিচ্ছে জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। যুদ্ধাপরাধী অপশক্তি এখন সাইবারযুদ্ধে নেমেছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। গুজব ও অসত্য সংবাদ প্রতিরোধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে এ সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে মানসম্মত অনুষ্ঠান তৈরি এবং দর্শক-শ্রোতাদের ফিডব্যাক নেওয়ার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়। ভুয়া খবর থেকে রক্ষার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটরিং করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়েছে, তথ্য যাচাই ও সত্য খবর উপস্থাপন করবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। আমাদের সংবিধানে উল্লেখ আছে- আইন মোতাবেক ছাড়া কারও জীবন, ব্যক্তিস্বাধীনতা, সম্পদ, সুনাম এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। অথচ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা নেতিবাচক সংবাদ প্রচার হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী এ সাইবার চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর