রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

তিন ছাত্রী নিখোঁজ

টিকটক নিষিদ্ধ করুন

টিকটক নামের ফেসবুক অ্যাপের কাজই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিকৃত মানসিকতার বিস্তার ঘটানো। বিনোদনের নামে নোংরামির বিস্তারই শুধু নয়, নারী পাচারেরও অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এ মাধ্যমটি। টিকটকে অভিনয়ের নামে সুসংবদ্ধ পাচারকারী চক্রের সদস্যরা তরুণীদের প্রলুব্ধ করে। তারা বিদেশে অনুষ্ঠান করার ফাঁদ পেতে ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয় এমন অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। হাতিরঝিলের হৃদয় বাবু গংদের দ্বারা পাচার হওয়া একাধিক তরুণীকে ভারত থেকে উদ্ধারের ঘটনা পত্রপত্রিকা ও প্রচারমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ার পরও অনেকের সম্বিত ফেরেনি। সম্প্রতি রাজধানীর পল্লবী থেকে তিন কলেজছাত্রীর একই সময়ে উধাও হওয়ার পেছনে টিকটক পাচার চক্রের হাত রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্দেহের কারণ তিন তরুণীই ছিল টিকটকের সঙ্গে যুক্ত। এ ঘটনায় শুক্রবার পল্লবী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিখোঁজ তিন ছাত্রীর একজনের মা। পুলিশের তথ্যানুযায়ী ওই তিন ছাত্রী পরস্পরের বান্ধবী এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের মা লিখিত অভিযোগে বলেছেন, বৃহস্পতিবার একই সময়ে তার মেয়েসহ তিনজন নিখোঁজ হয়। তার মেয়ে বাসা থেকে ৬ লাখ টাকা, সোনার অলঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। বান্ধবীদের একজন আড়াই ভরি সোনার অলঙ্কার এবং আরেকজন ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তারা মিরপুর-১৪ এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকারই তিন ব্যক্তি বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে তিনজনকে অপহরণ করেছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তরিকুল নামে একজনকে আটক করেছে। ওই তিন তরুণীই টিকটক করত বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। আর তরিকুল তাদের জাপানে পাঠানোর প্ররোচনা দিয়েছেন এমন অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিখোঁজ তিন কলেজছাত্রী পাচারকারী দলের শিকার হয়েছে। তাদের উদ্ধারে সব চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি টিকটক নামের অপরাধ অ্যাপ বন্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর