মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ীদের হয়রানি

এ অপপ্রবণতার অবসান হোক

বাংলা ভাষার একটি বহুল প্রচলিত প্রবচন বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। সোজা কথায় সৌভাগ্য অর্জিত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ মিসকিন থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে। কর্মসংস্থানে একসময় সিংহভাগ অবদান রাখত সরকারি খাত। জনগণের ট্যাক্সের টাকার শ্রাদ্ধ ছাড়া সরকারি খাতগুলো দেশের উন্নয়নে আদৌ কোনো ভূমিকা রেখেছে কি না তা গবেষকদের গবেষণার বিষয় বলে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু বেসরকারি খাত অর্থাৎ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের হাত ধরে জাতি সমৃদ্ধির মুখ দেখতে সক্ষম হয়েছে। তার পরও এ দেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো হয় এ এক ওপেন সিক্রেট। যে কারণে ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজার ও সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের গতি খুবই মন্থর। ব্যবসায়ীদের হয়রানির বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে হাই কোর্টও। রবিবার এক ব্যবসায়ীর জামিনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুদক যদি এভাবে ছোটে তাহলে দেশের উন্নয়ন কীভাবে হবে। যারা দেশের বাইরে বেগমপাড়া করছেন, যারা মালয়েশিয়া, আমেরিকায় টাকা পাঠাচ্ছেন এগুলো হলো বড় বড় মানি লন্ডারিং; তাদের ধরুন। রবিবার অর্থ পাচার মামলায় দিনাজপুরের খলিলুল্লাহ আজাদ মিল্টনকে আট সপ্তাহের জামিন দেয় আদালত। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন সময় ১৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার ২১৮ টাকা ব্যাংকে জমা রেখে পরে তা উত্তোলন করেছেন। বিবাদীর আইনজীবী বলেছেন, যেখানে ব্যাংকের শাখাই নেই সেখানে অভিযোগ কীভাবে টেকে? খলিলুল্লাহ আজাদ এর আগে ২২টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। দুদকসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিনা কারণেও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে এমন অভিযোগ বেশ প্রবল। আমরা আশা করব, আদালতের প্রশ্ন সেই অত্যুৎসাহী মনোভাবে কিছুটা হলেও লাগাম পরাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর