বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্ধুহীন আফগান জনগণ

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

বন্ধুহীন আফগান জনগণ

আফগানিস্তানের মানুষ তাদের নিজেদের দেশ ছেড়ে পালাতে চাচ্ছে, নিজের দেশের মানুষের ভয়ে। ৫০ বছর আগে দক্ষিণ ভিয়েতনামের সাইগনে এমন দৃশ্যই দেখা গেছিল। সেখানেও মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, বিশেষভাবে নৌকায় করে; নিজেদের দেশের মানুষের ভয়েই। তবে পার্থক্য আছে। সেটা বিরাট। তালেবানরা কমিউনিস্ট নয়; তারা সম্পূর্ণ ভিন্নপথের যাত্রী। একসময় মুজাহিদীন হিসেবে তালেবানরা যখন লড়ছিল রুশ দখলদারির বিরুদ্ধে মার্কিনিরা তখন তাদের মিত্র ছিল, অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। তালেবানদের আদর্শগত মিল ছিল মার্কিনিদের সঙ্গে। উভয়েই কট্টর কমিউনিস্টবিরোধী। তালেবানরা পাঁচ বছর পর আফগানিস্তান শাসনও করেছে। তার পরে বিরোধটা বাধে। আমেরিকানরা ছুটে আসে আল-কায়েদার ঘাঁটি ভাঙবে বলে। আমেরিকানরা তখন আর কমিউনিস্টবিরোধী বলে পরিচিত নয়, তারা তখন বিধর্মী ও বিদেশি। তালেবানরা শেষ পর্যন্ত বিধর্মী ও বিদেশিদের তাড়াল, কিন্তু নিজেদের আদর্শ থেকে যে বিচ্যুত হয়েছে তা অবশ্যই নয়। আদর্শে আস্থা আরও মজবুতই হওয়ার কথা। আদর্শটা হলো- একটি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা, যে রাষ্ট্র এখন পৃথিবীর কোথাও নেই। ওই রাষ্ট্রের প্রধান শত্রু হবে সমাজতন্ত্রীরা। সম্পত্তির সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা অবশ্যই নয়, ব্যক্তিগত মালিকানা অক্ষুণ্ণ রাখাটাই তালেবানদের অঙ্গীকার। এবং পিতৃতান্ত্রিকতার বেলায়ও তারা তো আমেরিকানদের চেয়েও এক কাঠি ওপরে।

তবে আমেরিকা ও তার মিত্ররা যে হেরে গেছে এটা ঠিক। ২০ বছর যুদ্ধ করল, তার পরে আর পারল না। কিন্তু পারল না কেন? পারল না এজন্য যে তাদের যে লক্ষ্য- পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য বিস্তার করা এবং কায়েম রাখা তা জবরদখলের দ্বারা এ যুগে আর সম্ভব নয়। তারা টাকা ঢেলেছে, কিন্তু ঢালার সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিও বাড়িয়েছে। স্বয়ং প্রেসিডেন্টই যখন টাকা গোছানোয় ব্যস্ত ছিলেন তখন অন্যরা কী করেছেন তা তো বোঝাই যাচ্ছে। সবাই নিজেরটা দেখছিলেন। আফগান সেনাবাহিনী গড়ে উঠেছে, তালেবানদের বিরুদ্ধে তারা লড়াইও করেছে; কিন্তু তারা ছিল বেতনভুক, তারা ভরসা করছিল আমেরিকার ওপর; আমেরিকা যখন পিছটান দিল তাদের জন্য তখন আর ভরসার জায়গা রইল না। দলত্যাগ করেছে অনেকে- মূলত ভয়ে, কিন্তু প্রাপ্তির যোগ ছিল না এমনও নয়। আফগান সেনারা ঘুষও খেয়েছে। সবাই দেখছিল নিজের নিজের স্বার্থ।

আফগানিস্তানকে আমেরিকানরা উন্নতি ঘটিয়েছে, কিন্তু সে উন্নতি সমাজের গভীরে চলে যায়নি। যাওয়ার কথাও নয়। যেতে হলে সামাজিক বিপ্লব ঘটাতে হতো, যেটা ছিল তাদের উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা একটি শ্রেণি চাইছিল যারা লেখাপড়া শিখবে, আধুনিক হবে এবং আমেরিকানদের অনুগত থাকবে। ওই শ্রেণির গঠন ও বিকাশে সহায়তাদানের কাজে তারা যে একেবারে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়। কিন্তু ওই শ্রেণিটি শহরের। গ্রামের মানুষ আগের মতোই রয়ে গেছে। তারা দরিদ্র, বঞ্চিত। তালেবানরা ছিল এই মানুষদের পাশে। বেকার ও হতাশ যুবকদের দলে টানতে তাদের বিশেষ অসুবিধা হয়নি। তারা তো গ্রামেরই লোক; বিদেশি নয়, বিধর্মী নয়। তালেবানরা বিপন্ন মানুষের পাশে থেকেছে, সাহায্য করেছে; বিবাদ-বিসম্বাদ মিটিয়ে দিয়েছে। তারা বোঝাতে পেরেছে তাদের অবস্থানটা বিদেশিদের এবং বিদেশিদের দালালদের বিরুদ্ধে। তারা লড়ছে দেশকে মুক্ত করার জন্য। ২০ বছরের ওই যুদ্ধের ভিতর শ্রেণি-বিভাজন ও শ্রেণিসংগ্রামের উপাদান যে ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ওদিকে যুদ্ধকালে যত সরকারই এসেছে সবাই তো ছিল পুতুল সরকার।

আমেরিকানদের অবধারিত পরাজয়কে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন আত্মসমর্পণ। বাইডেনের জায়গায় থাকলে তিনি যে জয়ী হতেন তা মোটেই নয়, আরও অর্থব্যয় ও রক্তপাত ঘটাতেন হয়তো, কিন্তু হার না মেনে উপায় থাকত না। লজ্জা আরও বাড়ত। ট্রাম্পের বক্তব্য অবশ্য তাঁর একার নয়, তাঁর দেশের অনেকেই ওই রকমটা বলছেন ও বলতে থাকবেন। ট্রাম্পের সমর্থক এখনো কিন্তু কম নেই। এরা বিশ্বাস করে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যে এবং ট্রাম্পকে মনে করে তাদের যথাযোগ্য মুখপাত্র ও উপযুক্ত সেনাপতি। এই বোধের পেছনে কাজ করছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য হারানোর ভয়। বিশ্বে আধিপত্য পরে দেখা যাবে, শঙ্কা তো দেখা দিয়েছে নিজের দেশকে নিয়েই। সর্বসাম্প্রতিক আদমশুমারিতে জানা গেছে, আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যা এখন নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৬১.৬ শতাংশে, এক দশক আগেও যা ছিল ৭২.৪ শতাংশ। ওদিকে সংখ্যা বাড়ছে আফ্রিকান-আমেরিকান ও এশিয়ান-আমেরিকানদের। আফ্রিকান-আমেরিকানদের চেয়েও এশিয়া থেকে আগত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হার অধিক। আফ্রিকান-আমেরিকানদের তবু সহ্য করা যায়; তারা খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত, দীর্ঘ সময় ধরে বসবাসকারী, ভাষাও শিখে নিয়েছে ভালোভাবেই; কিন্তু এশিয়ান-আমেরিকানদের বৃদ্ধিটা উদ্বেগজনক, কারণ তারা কেবল বাড়ছেই না, তাদের একজন তো ভাইস প্রেসিডেন্টই হয়ে বসেছেন। অন্য অনেক ক্ষেত্রেই তাদের প্রতিষ্ঠা ঘটেছে, এবং সাংস্কৃতিকভাবে তাঁরা যে আমেরিকার সঙ্গে মিলে গেছে এমন নয়। ‘স্বদেশে’ একক-আধিপত্যের আকাশে ঘন মেঘের আনাগোনায় শ্বেতাঙ্গরা অশুভ সংকেত দেখতে পাচ্ছে, শঙ্কিত হচ্ছে, এবং তাদের একাংশ কট্টর-রক্ষণশীলতার দিকে ঝুঁকছে।

২. আফগানিস্তানে আমেরিকানদের পরাজয়ে বিশ্বের সবাই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তা নয়। চীন তো নয়ই। চীন দেখা যাচ্ছে খুশিই হয়েছে। কারণ এ চীন তো আর আগের চীন নয়, মাও সে তুংয়ের চীন একেবারেই নয়, যদিও এখনো তারা কমিউনিস্ট পার্টির শাসনেই রয়েছে, এবং পার্টি মাও সে তুংকে ভোলেনি বলে জানাচ্ছে। কদিন আগে তারা যে তাদের দেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদ্যাপন করছিল সেই রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পার্টি-প্রধান শি জিন পিং মাও সে তুংয়ের গলাবন্ধ কোট পরেই উপস্থিত হয়েছিলেন, আশপাশে মাও সে তুংয়ের ছবিও ছিল; কিন্তু সেখানে মাও ছিলেন না। তাঁর আন্তর্জাতিকতা ছিল অনুপস্থিত। অনুষ্ঠানে দেশপ্রেমিক গান গাওয়া হয়েছে, কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিক গান ইন্টারন্যাশনাল গাওয়া হয়নি, এবং বলা হয়েছে, যা হরদমই বলা হচ্ছে- আমরা সমাজতন্ত্রীই, কিন্তু আমাদের সমাজতন্ত্র চীনা সমাজতন্ত্র। পরাধীন ভারতের কংগ্রেসপন্থি অনেক ‘সমাজতন্ত্রী’ও ওই রকমের কথা দর্পের সঙ্গে ঘোষণা করতেন, জানিয়ে দিতেন যে তাঁদের সমাজতন্ত্র আমদানি করা জিনিস নয়, খাঁটি দেশি বস্তু, এবং যতই ওসব বলতেন ততই সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতেন, যেটা অন্যতম কারণ ভারতে সামাজিক বিপ্লব না ঘটার। চীনের এই জাতীয়তাবাদী কমিউনিজমের আন্তর্জাতিক প্রতিফল এখন খুবই দৃশ্যমান। এটা আমরা টের পেয়েছিলাম ১৯৭১-এ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়, এখন টের পাচ্ছে সেনা অভ্যুত্থানে-পিষ্ট মিয়ানমারের মুক্তিসংগ্রামী মানুষেরা; সেনা অভ্যুত্থানকারীদের প্রতি চীন যে কেবল পরোক্ষ সমর্থন জানিয়ে ক্ষান্ত হয়েছে তা নয়, সম্প্রতি সেখানে ২১টি পরিকল্পনায় তারা অর্থ বিনিয়োগ করেছে। বিশ্বের যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে চীন এখন বিনিয়োগ করছে; সেই সঙ্গে জাতীয়তাবাদী-পুঁজিবাদী আদর্শকেও উৎসাহ দিচ্ছে। অসুখও ছড়াচ্ছে। করোনাভাইরাস তাদের গবেষণাগারে উৎপাদিত হয়েছে কি না সে নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তাদের দেশ থেকেই যে ছড়িয়েছে তাতে তো কোনো দ্বিমত নেই। তবে চীন যে নিজের দেশে ওই মহামারীর সুন্দর রকমের মোকাবিলা করতে পারল তার কারণ তার বর্তমান পুঁজিবাদী চরিত্র নয়; কারণ হচ্ছে কমিউনিজমে তাদের অভিজ্ঞতা। কমিউনিস্ট হয়েছিল বলে যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উন্নতি, শৃঙ্খলা ও ঐক্য চীনের অর্জনে এসেছে সে শক্তিতেই এ সাফল্য। কভিড-১৯ অসুখটা চীন প্রথমে ধনী দেশগুলোর কাছেই পাঠিয়েছিল। সেখান থেকে তা দরিদ্র-দেশে ছড়িয়েছে, এবং মানুষকে না-ঘটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতোই একটা বিপদে ফেলেছে। এখন ভয়ংকর রকমের প্রতিক্রিয়াশীল তালেবানদের সঙ্গে খাতির জমাতে চীন ত্রুটি প্রদর্শন করছে না। আফগানিস্তানের ওপর সে চোখ রেখেছে। সেখানে বিনিয়োগ করছে, আরও করবে, সে-দেশের অব্যবহৃত খনিজ সম্পদের উত্তোলনে অংশ নেবে এমন ইচ্ছা, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে আফগানিস্তানে নিয়ে যাবে। চীনের পণ্য বাজার দখল করবে এ রকমের অভিপ্রায়ও তারা নিশ্চয়ই লালন করছে। চীনের আশাবাদটা হয়তো নিতান্ত অলীক নয়।

পাকিস্তানও মনে হচ্ছে খুশি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তো বলেই ফেলেছেন, আফগানিস্তান দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙেছে। দাসত্বটা আমেরিকার শাসনের। ‘মুক্ত’ আফগানিস্তানের সঙ্গে এখন ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো জমবে। বিপদের সময় পাকিস্তান তালেবানদের সাহায্য করেছে। আশ্রয়-প্রশ্রয় তো বটেই, অর্থসহায়তাও দিয়েছে। এখন ফেরত পাওয়ার পালা। পাকিস্তানের ভিতরে তালেবানের পাকিস্তানি সংস্করণও রয়েছে; উৎফুল্ল হবে তারাই অধিক। তালেবানের আদি লালনভূমি ছিল পাকিস্তানই; সেখানকার মাদরাসাগুলোতেই তালেবানদের প্রাথমিক শিক্ষা; কিন্তু ইতিমধ্যে পাকিস্তানি ঘরানার তালেবানরা বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। উগ্রপন্থি জঙ্গিরাও দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীও, বিশেষ করে তাদের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ, এদের সমর্থক। আর রাষ্ট্র তো পেছন থেকে চালায় সামরিক বাহিনীই। ইমরান খান তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে তবেই ক্ষমতায় এসেছেন, এবং টিকে থাকবেন বলে আশা করছেন। তবে মুখ শুকাবে পাকিস্তানের প্রগতিশীল মানুষদের, এবং মেয়েদের। মেয়েদের একাংশ সেখানে অনেক অগ্রসর, কিন্তু তারা জঙ্গি ও মৌলবাদীদের কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তালেবানি নারী-বিদ্বেষ চাঙা হলে মেয়েদের নিরাপত্তায় টান পড়বে। তবে এ নিয়ে ইমরান খান যে খুব উদ্বিগ্ন তা মনে হয় না। এই সাবেক ক্রিকেট ক্যাপ্টেন অত্যন্ত পিতৃতান্ত্রিক; দেশে-বিদেশে একাধিক বিয়ে-করেছেন; বিবাহবহিভর্‚ত সন্তানের পিতাও হয়েছেন, যে খবর তাঁর স্ত্রীদেরই একজন প্রকাশ করে দিয়েছেন। খান সাহেবের শাসনাধীন রাষ্ট্রে ধর্ষণ বিলক্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে; এবং এর জন্য ধর্ষকদের নয়, মেয়েদেরই তিনি দোষ দিতে পছন্দ করেন। তাঁর দেশের মেয়েদের ধমক দেওয়ার সুরেই তিনি বলেছেন, মেয়েরা যদি খাটো কাপড় পরে তবে তাদের দেখে পুরুষ মানুষ যদি নিতান্ত রোবট না হয় তবে তো উত্তেজিত হবেই। খান সাহেব পুরুষ মানুষের ভালোই একটা সংজ্ঞা দিয়েছেন। তবে যে পুরুষরা ওইভাবে উত্তেজিত হয়ে আপন আপন পুরুষত্বের পরিচয় জাহির করে তারা অবশ্যই নত হবে যদি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় শাসন উপস্থিত থাকে। পিটুনি দেয়। শুনেছি ইমরান খান পাকিস্তান সেনাধ্যক্ষ নিয়াজির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, নাকি ভ্রাতুষ্পুত্রই; ওই ‘বাঘা’ নিয়াজি অবশ্য কাঁদতে কাঁদতে একাত্তরে বিদায় হয়েছিলেন, ভারতীয় জেনারেলদের পেছনে নিজেকে আবডাল করে; তিনি যখন তাঁর সেনাদের লেলিয়ে দিয়েছিলেন লুণ্ঠন ও ধর্ষণে নিমগ্ন হতে, তখন বাংলাদেশের কোনো নারীই স্বল্পবসনে তাদের সামনে গিয়ে হাজির হয়নি, উল্টো তাদের ভয়ে বনজঙ্গলে আত্মগোপন করে, পানা পুকুরে ডুব দিয়ে, প্রাণপণে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করেছে। হানাদার ওই পুরুষপুঙ্গবরা অবশ্যই ‘উত্তেজনাবিহীন’ হতো যদি সময়মতো পিটুনি খেত। পিটুনি অবশ্য তাদের দেওয়া হয়েছে, তবে প্রত্যেককে আলাদা করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ প্রস্তুত ছিল না। নেতৃত্ব বাঙালিকে প্রস্তুত অবস্থায় রাখেনি। সে-দুঃখ ভুলবার নয়।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর