বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

আন্তর্জাতিক মহলের সুমতি প্রত্যাশিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার অবস্থানে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিকে আশঙ্কাজনক বলে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতিসংঘে তিনি এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। নারী ও শিশু পাচার এবং মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। যে কারণে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলেছেন, তাদের প্রত্যাবাসন না হলে তা আরও হবে। প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থাকলে অনেকের লাভ হয়। প্রত্যাবাসন নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। মনে হয় কারও কারও কাছে রিফিউজি পালাটা একটা ব্যবসা। রিফিউজি না থাকলে তাদের চাকরিই থাকবে না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও আশাব্যঞ্জক সাড়া না পাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো সংস্থা রোহিঙ্গাদের শরণার্থী করে রাখতেই বেশি আগ্রহী বলে মনে হয়েছে। কোনো কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকান্ডে মনে হয় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিজভূমে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তাদের আগ্রহ নেই। অনেক প্রস্তাব আসে, রোহিঙ্গাদের জন্য এখানে অনেক কিছু করে দিতে চায়। তিনি তাদের বলে দিয়েছেন আপনারা মিয়ানমারে যান, ওখানে ঘর করেন, স্কুল করেন, এখানে করা লাগবে না। অনেক সংস্থা আছে যারা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বরাবরই ভালো সাড়া দিয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু সংস্থা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে আগ্রহ দেখায় না। গণভবনে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্‌বানে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করা। কিন্তু সে দায়িত্ব পালনের বদলে ১২ লাখ মানুষের বোঝা বাংলাদেশে চাপিয়ে দেওয়া অগ্রহণযোগ্যই শুধু নয়, দুর্ভাগ্যজনকও। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সুমতি প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর