বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রকল্প বাস্তবায়ন

ধীরগতি ও দুর্নীতি রোধে কঠোর হোন

সব প্রকল্প প্রণয়নে আমাদের কর্তাব্যক্তিদের সক্রিয়তার জুড়ি নেই। কারণ প্রকল্প হলেই সবার না হোক অনেকের পকেট ভারী হয়। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও চলে অভিন্ন অপখেলা। অজুহাত সৃষ্টি করে বাড়ানো যায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যয়। একই অপচয় হয় জনগণের দেওয়া ট্যাক্সের টাকার। এটি বাংলাদেশের সিংহভাগ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের অনুসৃত নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশার কথা, এ যাচ্ছেতাইয়ের অবসানে প্রধানমন্ত্রী কড়া অবস্থান নিয়েছেন। ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি জড়িতদের মধ্যে যারা অবসরে গেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। একনেকের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের কাজ শেষ করতে চূড়ান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে। যারা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের জন্য দায়ী তাদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দুর্নীতি-অসততার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান সময়ের দাবি। সন্দেহ নেই, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের সোপান ধরে। প্রণয়ন করা হচ্ছে একের পর এক উন্নয়ন পরিকল্পনা। কিন্তু সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন আমাদের দেশে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখভালের জন্য সরকারের প্রতিটি দফতরে সাদা হাতি পোষার মতো অসংখ্য কর্মচারী-কর্মকর্তা পোষা হলেও শতকরা ৯৫ ভাগ নির্মাণকাজের মান সম্পর্কে প্রশ্ন দেখা দেয়। কোনো কোনো ভবন নির্মাণের দু-চার বছর যেতে না যেতেই তা হতশ্রী চেহারা ধারণ করে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের কচ্ছপ গতি তাদের পোষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশ্ন সৃষ্টি করছে। আমরা আশা করব কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শুধুু নয়, প্রতিটি প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সরকার চোখ-কান খোলা রাখার নীতি গ্রহণ করবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর