শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
ভেষজ

সফেদার গুণাগুণ

সফেদার আদিনিবাস আমেরিকা, সম্ভবত মেক্সিকো। বর্তমানে অবশ্য প্রায় সমগ্র ক্রান্তীয় অঞ্চলেই এ ফলের চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় প্রচুর সফেদা উৎপন্ন হয়। ইদানীং বাংলাদেশেও সফেদার চাষ হচ্ছে। দেশভেদে এ ফলের নাম পাল্টে যায়। যেমন সফেদাকে কোস্টারিকায় জাপোটে কোলারাডো, উত্তর আমেরিকায় জাপোটে রোজো এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে চিকু নামে ডাকা হয়। মার্মালেড প্লাম নামেও সফেদার যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। অত্যন্ত সহজপাচ্য এ ফলটিতে ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজের মতো সরল কার্বোহাইড্রেট থাকায় চট করে শরীরে শোষিত হয়ে শক্তির জোগান দিতে পারে। বাদামি রঙের, পুষ্ট প্রতিটি সফেদা ফল দেখতে প্রায় গোলাকার। গড় ব্যাস ১০ সেমি, গড় ওজন ১৫০ গ্রাম। বাইরের খোসা দেখে আলুর কথা মনে পড়ে যায়। সুমিষ্ট ও রসালো এ ফলটি সাধারণ খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া হয়। ফলের ভিতরটা অত্যন্ত নরম। এ ছাড়া মিল্ক শেক ও আইসক্রিমেও সফেদা খাওয়ার প্রচলন আছে। বেশ কিছু প্রসাধনসামগ্রীতে এ ফলের বীজ থেকে নিষ্কাশিত তেল ব্যবহার করা হয়। ১০০ গ্রাম সফেদা থেকে ৮৩ কিলোক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। উপাদান হিসেবে এতে রয়েছে ১৯.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৪০ গ্রাম প্রোটিন, ৫.৩ গ্রাম ডায়েটরি ফাইবার, ১২ মিগ্রা সোডিয়াম, ১৯৩ গ্রাম পটাশিয়াম, ২১ মিগ্রা ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিগ্রা আয়রন, ১২ মিগ্রা ম্যাগনেশিয়াম, ০.১ মিগ্রা জিঙ্ক। এ ছাড়া রয়েছে ফোলেট, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্ল্যাভিন, প্যান্টেথিনিক অ্যাসিড, পাইরিডক্সিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ইত্যাদি। সফেদায় থাকা প্রচুর ডায়েটরি ফাইবারের গুণে কনস্টিপেশন দূর করে পায়খানা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

আফতাব চৌধুরী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর