শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

উষ্ণতম শহর ঢাকা

এ পরিচিতি লজ্জার ও অপমানের

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। প্রায় ১৭ কোটি মানুষের গর্বের অনুসঙ্গ এ মহানগরী। বিশ্বের মেগা সিটিগুলোর মধ্যে অন্যতম ভাবা হয় ঢাকাকে। দেড় কোটি মানুষের এ মহানগরী দুনিয়ার সমস্যাকীর্ণ নগরীগুলোর শীর্ষে পৌঁছাতে যেন উঠেপড়ে লেগেছে। যা লজ্জা এবং অপমানের বললেও অত্যুক্তি হবে না। ঢাকাকে বলা হয় যানজটের নগরী, বায়ুদূষণের দিক থেকেও এ মহানগরীর স্থান শীর্ষে অথবা ধারেকাছে। নাগরিক সুযোগ-সুবিধার সীমাবদ্ধতায় ঢাকা ক্রমান্বয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। শব্দদূষণের নগরী হিসেবেও গড়ে উঠেছে এ মহানগরীর লজ্জাজনক পরিচিতি। অবশেষে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের ৫০টি শহরের মধ্যে শীর্ষ অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এতে ঢাকাবাসীর কর্মক্ষমতা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে। দেশের শহরগুলোর মধ্যে এ তালিকায় রয়েছে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা, ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক বিশ্বের ৫০টি শহরের ওপর যৌথভাবে গবেষণাটি করেছেন। সোমবার গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ঢাকা সম্পর্কে বলা হয়েছে- অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বছরে এ শহরে মোটের ওপর ৫ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ (বিভিন্ন কাজে ঢাকার বাইরে থেকে আসাসহ) তাদের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার চেয়ে কম কাজ করতে পারছেন। শুধু তা-ই নয়, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে স্বাস্থ্য সমস্যাও বাড়ছে। স্বাধীনতার পর ঢাকার জনসংখ্যা ৩০ গুণ বেড়েছে। বাড়তি জনসংখ্যার জন্য ঢাকা পরিণত হয়েছে ঘিঞ্জি নগরীতে। ফলে ঢাকার উষ্ণতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। রাজধানীর জলাশয়গুলোর বেশির ভাগ অস্তিত্ব হারিয়ে ঘনীভূত করছে পরিবেশগত সংকট। গাছপালা কেটে ফেলার অবিমৃশ্যকারিতায় ঢাকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে। এ অবস্থার অবসানে সরকার এবং নাগরিক সমাজকে সচেতন হতে হবে। বন্ধ করতে হবে আত্মঘাতী প্রবণতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর