শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিদেশে কর্মসংস্থান

প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বাড়াতে হবে

১৭ কোটি মানুষের দেশে প্রায় ১ কোটি লোক বিদেশে আয়-রোজগার করছেন। তারা প্রতি বছর বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি চাঙা রাখছেন। তাদের পাঠানো অর্থ শুধু সংশ্লিষ্ট পরিবারের কল্যাণেই ব্যয় হচ্ছে না, জাতীয় উন্নয়নেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি মূলত মধ্যপ্রাচ্যকে কেন্দ্র করে। আমাদের জনশক্তির ৯০ শতাংশ যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয়। বাংলাদেশ থেকে এখনো যেসব শ্রমিক বাইরে যান তার বিরাট অংশ অদক্ষ ও স্বল্প লেখাপড়া জানা। এর সুযোগ নিয়ে প্রতারক চক্র বিদেশে চাকরিপ্রত্যাশী হাজার হাজার মানুষকে সর্বস্বান্ত করে চলেছে। অন্যদিকে সংকুচিত হয়ে আসছে অদক্ষ শ্রমবাজার। বিদেশি শ্রমবাজারে এখন চাহিদা শুধুই দক্ষ কর্মীদের। অদক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। তাই বিশ্ববাস্তবতা মোকাবিলায় কর্মীদের দক্ষ করে বিদেশে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছে সরকার।

বিদেশ গমনেচ্ছুদের ট্রেনিং নিতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিয়েছে নানান উদ্যোগ। নেওয়া হয়েছে নামমাত্র খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণের মধ্যেই পাসপোর্ট ও বিএমইটি নিবন্ধন এবং প্রশিক্ষণ থেকে চাকরির ব্যবস্থা। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ৭ লাখ কর্মী পাঠানোর পর কাক্সিক্ষত রেমিট্যান্স পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বছরে প্রায় ৩০ হাজার জনকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী হিসেবে তৈরি করার ব্যবস্থা আছে। ব্যাপকভাবে দক্ষ কর্মী তৈরির উদ্যোগে তরুণ-যুবাদের আগ্রহী করতে হবে। প্রতি বছর যে মানুষ বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন এর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ প্রশিক্ষিত। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া কর্মীর ৬২ শতাংশ অদক্ষ, ৩৬ শতাংশ আধাদক্ষ ও ২ শতাংশ মাত্র অতি দক্ষ। যে কারণে এসব কর্মীর মজুরিও কম। দক্ষ কর্মী তৈরিতে আমূল সংস্কার প্রয়োজন। কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষা আলাদা না রেখে একসঙ্গে করে দক্ষ কর্মী তৈরিতে জোর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর