রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
ইতিহাস

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা

১৯৬৬ সালের ৭ জুন মনু মিয়াসহ অন্যদের জীবনদান সারা দেশের শ্রমিকদের মধ্যে ছয় দফার আন্দোলন জনপ্রিয় করে তোলে। ছাত্রসমাজের পাশাপাশি শ্রমিকদের সমর্থন ছয় দফা দাবিকে আরও অপ্রতিরোধ্য হতে সহায়তা করে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নিশ্চিত হয় শেখ মুজিবকে জেলে রেখেও আন্দোলন দমন করা যাবে না। তারা বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবি নস্যাতে নতুন ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে কারাবন্দী শেখ মুজিবকে জড়ানো হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায়। এ মামলায় নৌবাহিনীর তরুণ অফিসার লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন ছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর সদস্যসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ করা হয় তাঁরা ভারতীয় মদদে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। শেখ মুজিবকে এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান, এলএস সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সিডিআই নূর মোহাম্মদ, আহমেদ ফজলুর রহমান সিএসপি, ফ্লাইট সার্জেন্ট মাহফিজউল্লাহ, করপোরাল আবুল বাশার, মোহাম্মদ আবদুস সামাদ, হাবিলদার দলিল উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস সিএসপি, ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক, ভূপতিভূষণ চৌধুরী ওরফে মানিক চৌধুরী, বিধান কৃষ্ণ সেন, সুবেদার আবদুর রাজ্জাক, হাবিলদার ক্লার্ক মুজিবুর রহমান, ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. আবদুর রাজ্জাক, সার্জেন্ট জহুরুল হক, মো. খুরশীদ, খান মোহাম্মদ শামসুর রহমান সিএসপি, হাবিলদার আজিজুল হক, মাহফুজুল বারী, সার্জেন্ট শামসুল হক, শামসুল আলম এএমসি, ক্যাপ্টেন মো. আবদুল মোতালেব, ক্যাপ্টেন এ শওকত আলী মিয়া, ক্যাপ্টেন খন্দকার নাজমুল হুদা এএমসি, ক্যাপ্টেন এন এন এম নুরুজ্জামান, সার্জেন্ট আবদুল জলিল, মো. মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, লে. এস এম এম রহমান, সাবেক সুবেদার এ কে এম তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী রেজা, ক্যাপ্টেন খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ এমসি ও লে. আবদুর রউফ।

মোহাম্মদ সোহেল

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর