রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য সাক্ষাৎ হুমকি হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গার জীবন এখন মহাসুখের। থাকা-খাওয়ার জন্য তাদের কোনো খরচ নেই। নেই বস্ত্র ও চিকিৎসার খরচ। গলায় কাঁটা হিসেবে বিদ্ধ থাকা রোহিঙ্গাদের সব খরচ মেটাতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। মানবিক কারণে প্রতিবেশী দেশের অপরাধপ্রবণ একটি জাতিগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের মানবাধিকারই ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাদক ও মানব পাচার ক্যাম্পের নিত্য ঘটনা হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার ও নিজেদের অবস্থান সংহত করতে প্রায়ই রক্তের হোলি খেলায় মেতে ওঠে রোহিঙ্গারা। মাঝেমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানের মুখে কেউ কেউ গ্রেফতার হলেও থামানো যাচ্ছে না সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অপরাধ। রোহিঙ্গাদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পগুলোয় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে এবং তৈরি হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার; যা সম্পন্ন হলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কিছুটা সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গারা শরণার্থী ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ও মানব পাচার, অস্ত্র ব্যবসা, চাঁদাবাজি কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘাত ঘটাচ্ছে। এতে ঘটছে খুন। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ঘটছে অপহরণের মতো অপরাধও। অপরাধীদের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিভিন্ন উগ্রপন্থি রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ফলে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলোর বাইরে যাতায়াতের পথ বন্ধে কঠোর হতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ক্যাম্পগুলো থেকে সব ধরনের অস্ত্র উদ্ধারে উদ্যোগ নিতে হবে। মাদক ও মানব পাচারে সংশ্লিষ্টদের দমন করতে হবে কঠোরভাবে।