সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

এনবিআরের প্রস্তাব

শিল্পোদ্যোক্তাদের হয়রানি বন্ধ হবে

বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব সরকারি নীতি দুনিয়ার যে কোনো বিনিয়োগকারীকে প্রলুব্ধ করতে বাধ্য। কিন্তু বাস্তবতা এতই বিপরীত যে, বাংলাদেশকে এড়িয়ে চলেন বেশির ভাগ বিদেশি বিনিয়োগকারী। তাদের ভয় একটাই। বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র সরকারি নীতির বাস্তবায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার বদলে সেবা প্রত্যাশীদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর অভ্যাসে অভ্যস্ত। যদিও দেশবাসী ও ব্যবসায়ীদের দেওয়া ট্যাক্স বা ভ্যাটের টাকা দিয়েই পোষা হয় সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের। দেশের উন্নয়ন কাজও হয় যে ট্যাক্স ও ভ্যাটের টাকায় তার সিংহভাগ আসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ব্যবসায়ীরা যাতে শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে অবশেষে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সরকার। কোনো আইন বা প্রজ্ঞাপন জারি করে শিল্পের পণ্য ও কাঁচামাল আমদানিতে যাতে বাধা সৃষ্টি না করা যায়- সে লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আমদানি নীতির একটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অন্য আইনে যাই থাকুক না কেন আমদানি নীতি আদেশ জারির পর শিল্প খাতের জন্য বৈধ ও কারখানায় ব্যবহৃত হবে- এমন সব নিয়মিত পণ্য ও কাঁচামালের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না। চলমান আমদানি নীতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাস্তবায়নের জন্য নতুন একটি আমদানি নীতি প্রণয়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যেটির খসড়া মতামতের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় পাঠানো হয়েছে। ওই খসড়ার ওপর ২৭ সেপ্টেম্বর কিছু বিষয় সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধনের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি মতামত পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এনবিআর মনে করে আমদানি নীতিতে অনুমোদন থাকার পরও হঠাৎ কোনো সংস্থার বিধিনিষেধ জারি হলে বিপাকে পড়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এর ফলে উৎপাদন যেমন ব্যাহত হয় তেমন বাতিল হয় পণ্য রপ্তানির জন্য বিদেশি ক্রেতাদের পাঠানো ক্রয়াদেশ। নতুন সংশোধনটি পাস হলে শিল্পোদ্যোক্তাদের হয়রানির অপকৌশল অনেকাংশে রুদ্ধ হবে এমনটিই আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর